সিরাজগঞ্জ থেকে উদ্ধারকৃত বস্তুটি বোমা নয়।
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; নারায়ণগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার গোপরেখী গ্রামের কলেজশিক্ষক গফুর হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত বস্তুটি আসলে বোমা নয়।
র্যাব হেডকোয়ার্টারের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের মেজর মশিউর সোমবার (৪ জুলাই) রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এনায়েতপুর থানা পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেড কোয়ার্টারের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম গিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছে যে, টেপে মোড়ানো বস্তুটি বোমা নয়। তবে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে বোমার আদলে এটা তৈরি করা হয়েছিলো।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বাঙলা কাগজ ও ডনকে জানান, বোমাসদৃশ বস্তুটি দেখার পর পুলিশ স্কোয়াড দিয়ে বাড়িটি ঘিরে রেখে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়। রাতেই বোমা নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াড এসে বস্তুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং সেটি বোমা নয় বলে নিশ্চিত করে।
ওসি আরও বলেন, ‘এই ঘটনাটির তদন্ত চলছে। শিগগির অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এর আগে শাহজাদপুরের ঘোড়শাল সাহিত্যিক বরকতুল্লাহ কলেজের প্রভাষক গফুর হোসেনের বাড়িতে বোমাসদৃশ বস্তুর সন্ধান পেয়ে সেখানে পাহারা দেয় পুলিশ। বস্তুটি উদ্ধারের এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তা নিষ্ক্রিয় ও উদ্ধারে ডাকা হয় র্যাবের টিম।
শিক্ষক গফুর হোসেন বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘রোববার রাতে একজন আমাকে মোবাইলে কল দিয়ে প্রথমে খাবারের ঘরে অস্ত্র আছে বলে জানান। পরে তোর সঙ্গে কথা হবে, এমন বলেই লাইন কেটে দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সকালে আবার ফোন করে জানান ঘরে টাইম বোমা রাখা আছে। এ অবস্থায় আমি বাড়িতে ফিরে দেখি একটি কার্টনের ভেতর টেপ মোড়ানো অবস্থায় বোমাসদৃশ লম্বাটে কিছু আছে। সোমবার দেখে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তাঁরা বাড়িতে আসেন।’