শারীরিক অবস্থার অবনতি। সিসিইউতে খালেদা জিয়া।

শারীরিক অবস্থার অবনতি। সিসিইউতে খালেদা জিয়া।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১০ জুন) দিবাগত রাত ২টা ৫০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে থাকা খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ফিরোজায় অবস্থান করছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার গণমাধ্যমকে বলেন, রাত ৩টা ১২ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছেন খালেদা জিয়া। তাঁর সঙ্গে আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

২০২১ সালে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্ষক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান চিকিৎসকেরা। খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ওইদিনই গুলশানের বাসায় ফিরেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

গত পহেলা ফেব্রুয়ারি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৮০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এর আগে গত বছরের ১৩ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়। এরপর দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে, চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাঁকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। 

এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’-এর ধারা-৪০১ (১)-এর ক্ষমতাবলে সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমবারের মতো শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পান খালেদা জিয়া।

পরে একই বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁর মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। এরপর দফায় দফায় বাড়ে তাঁর মুক্তির মেয়াদ। সবশেষ গত মার্চ মাসে শর্ত অপরিবর্তিত রেখে আরও এক দফা তাঁর দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।