শেখ রেহানাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রী : মাঝ পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে দেখেন সৌন্দর্য।

শেখ রেহানাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রী : মাঝ পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে দেখেন সৌন্দর্য।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দেড় মাসের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো সেতুটি পাড়ি দিয়ে জন্মভিটা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গেছেন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

সেখানে পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও শেখ রেহানার পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য।

এর আগে গণভবন থেকে শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে সড়কপথে রওনা হন সরকারপ্রধান। প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর মাওয়া টোল প্লাজার ৬ নম্বর লেন দিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দেয়। এ সময় ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা টোল পরিশোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতুতে উঠে এর মাঝামাঝি বরাবর গিয়ে কিছুটা সময় সেখানে সৌন্দর্য উপভোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।

পরে বেলা পৌনে ১১টার দিকে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। তখন সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। এরপর সুরা ফাতেহা পাঠ করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি বঙ্গবন্ধু ভবনে যান।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী ব্যক্তিগত কর্মকর্তা গাজী হাফিজুর রহমান, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, গোপালগঞ্জ পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বাশার খায়ের, সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর গত ৪ জুলাই সেতুটি দিয়ে প্রথমবারের মতো বাড়িতে যান সরকারপ্রধান। ওই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।