র‍্যাব মহাপরিচালক : ঈদে জঙ্গি হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। আশঙ্কাও নেই।

র‍্যাব মহাপরিচালক : ঈদে জঙ্গি হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। আশঙ্কাও নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই এবং আশঙ্কাও নেই বলেই জানিয়েছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘সাইবার মনিটরিংসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে ঈদকে কেন্দ্র করে কোনও ধরনের জঙ্গি হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় নি। তবু আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। জঙ্গিদের যে কোনও ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে র‍্যাব।’ আজ রোববার (পহেলা মে) জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন র‍্যাবের মহাপরিচালক। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহে নিরাপত্তা সুইপিং করা হবে। জাতীয় ঈদগাহে পোশাকে ও সাদাপোশাকে পর্যাপ্ত র‍্যাব সদস্য টহলে থাকবেন; পাশাপাশি র‍্যাবের স্পেশাল ফোর্স মোতায়েন করা হবে। জাতীয় ঈদগাহ ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট দিয়ে নিরাপত্তা সুইপিং করা হবে। যে কোনও উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত রিজার্ভ ফোর্স মোতায়েন থাকবে। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ঈদকে কেন্দ্র করে ভার্চুয়াল জগতে কোনও ধরনের গুজব, উসকানিমূলক তথ্য, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে র‍্যাব সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান র‍্যাবের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, যে কোনও নাশকতা বা হামলা মোকাবিলায় র‍্যাব স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিমকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি যে কোনও পরিস্থিতিতে র‍্যাব এয়ার উইংয়ের হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে র‍্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘সড়ক ও নৌপথে চাঁদাবাজি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অতিরিক্ত যাত্রী বহন করাসহ বিভিন্ন হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড রোধেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে র‍্যাব। অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই বাস, পিকআপ ও লেগুনাসহ বিভিন্ন যানের চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সার্টিফিকেট আছে কি-না, তা যাচাই করা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। র‍্যাব জানায়, র‍্যাবের ব্যাটালিয়নগুলো নিজ নিজ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করবে। র‍্যাব সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুমের (হটলাইন নম্বর : ০১৭৭৭৭২০০২৯) মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হবে।