রাজশাহীতে খোলা ট্রাকে বালু পরিবহন : নগরবাসীর ভোগান্তি।

রাজশাহীতে খোলা ট্রাকে বালু পরিবহন : নগরবাসীর ভোগান্তি।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; লিয়াকত হোসেন, রাজশাহী : রাজশাহীর কাটাখালী থানার শ্যামপুর ঘাট থেকে বালু উত্তোলন করে বিহাস রোড হয়ে আলিফ লাম মিম ভাটার মোড় দিয়ে শত শত খোলা অবস্থায় ড্রাম ট্রাক বালু পরিবহন করছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীসহ আশপাশের বাসিন্দাদের।

ভুক্তভোগী বুধপাড়া নিবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথী আমিনুল ইসলাম, বারোরাস্তা মোড়ের ভ্যানচালক বকুল দায়রাপাক এবং মোড় এলাকার পথচারী আলমগীর হোসেন অভিযোগ জানিয়ে বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, বালুবাহী ট্রাকগুলোতে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে বালু পরিবহন করার কথা থাকলেও এই নির্দেশনা মানছে অধিকাংশ ট্রাক। ড্রাম ট্রাকগুলো বালু বোঝাই করে নিয়ে যাবার সময় বালুর উপর ত্রিপল দিয়ে ঢেকে না দেওয়ার কারণে বালু উড়ে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী ও পথচারীদের চোখে মুখে পড়ছে। এতে করে ভোগান্তির পাশাপাশি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। 

‘এ ছাড়া এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি এবং মোটরসাইকেলসহ ব্যক্তিগত গাড়িও চলাচল করে। আর এই ড্রাম ট্রাকের অসাবধানতা ও অদক্ষ চালকের বেপরোয়া গতির ফলে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আবার পথচারীদেরও এক প্রকার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এই রাস্তায়। তারপরও প্রশাসনের টনক নড়ছে না।’

মুদি দোকানি আসলাম বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘আমার দোকানের জিনিসগুলোতে (পণ্য) বালু পড়ার কারণে তা বিক্রি করতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা মুছেও কূল পাচ্ছি না।’ 

হোটেল ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘ত্রিপল বা ঢাকনা ছাড়া বালু বহন করায় বালুর কনাগুলো বাতাসে উড়ে এসে হোটেলের খাবারে পড়ার কারণে খাবার নষ্ট হচ্ছে। আমাদের খাবার নষ্ট হচ্ছে।’

এ বিষয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল পবা বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘যে পয়েন্ট থেকে ড্রাম ট্রাকে বালু ভর্তি করা হয়, সেই পয়েন্টের বালু বহনকারী ট্রাক ত্রিপল ব্যবহার না করলে, তাঁদের ব্যাপারে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’