রাজনৈতিক দল ও ইসির সংলাপ শুরু ১৭ জুলাই।
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : জাতীয় নির্বাচনের ডামাডোল ‘শুরু হয়ে গেছে’। যেখানে রোববার (১৭ জুলাই) থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনি সংলাপে বসছে ইসি।
নিবন্ধিত ৩৯ দলের দাবি ও পরামর্শ শুনবে নির্বাচন কমিশন। ২ নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, বিএনপিসহ সকলের অংশগ্রহণ আশা করে নির্বাচন কমিশন। সংবিধান ও আইন সমর্থন করে, বেশিরভাগ দলের এমন দাবির বাস্তবায়ন করতে চায় কমিশন।
হোক সে কাগুজে ব্যালট নয়তো বৈদ্যুতিক বোতামের ইভিএম। ভোট মানেই সম্মতি আদায়ের লড়াই। নাগরিকদের প্রতিনিধি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা। জাতীয় নির্বাচনের বাকি এখনও প্রায় দেড় বছর।
ইসির নির্বাচনি সংলাপ চলবে ১৭ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত।
এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যে কোনও সাজেশন দিতে পারেন আমাদের। অর্থাৎ, নির্বাচনি ব্যবস্থাপনা, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট, ইভিএম হোক বা ব্যালট হোক অথবা কমিশনের আরও কী কী দায়িত্ব পালন করা উচিত।
কেবল আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা নয়, নতুন ইসির চাওয়া ভোটের গ্রহণযোগ্যতা। তাই বিএনপিসহ নিবন্ধিত সকল দলের নির্বাচন ভাবনা জানতে চায় কমিশন। পদ্ধতির সংস্কার চাইলেও তা জানাতে পারে দলগুলো। এর আগে ইভিএম সংলাপেও বিএনপিসহ নির্বাচন বিমুখ দলগুলোকে আনার চেষ্টা করেছিলো বলে জানিয়েছেন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আরও বলেন, আমরা বারেবারেই তাদেরকে ডাকবো। যতোদিন তারা না আসবেন, ততোদিন ডাকবো, ডাকতেই থাকবো।
নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অবসর) আহসান হাবিব বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, অনিয়ম যেনো কেউ না করতে পারে, সেজন্য আমরা নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করবো। আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই।
এরইমধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপের খসড়া চূড়ান্ত করেছে ইসি। দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হবে। তাই সংলাপকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায় কমিশন।
আহসান হাবিব আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন যে, সর্বশেষ বড় বড় নির্বাচনগুলোয় আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছি। এগুলো পাইলট প্রোজেক্ট ছিলো। আমাদের পরিকল্পনা আছে যে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমরা এসব ব্যবহার করবো।
এদিকে ভোটের প্রস্তুতি শুরু হলেও নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে এখনও মাঠে সরব বিএনপি। ইসির কোনও সংলাপে না যাওয়ার দাবিতেও অটল দলটি।