রাজধানীতে ছিলো তীব্র যানজট।

রাজধানীতে ছিলো তীব্র যানজট।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : সাবেরা ইসলাম থাকেন ঢাকার পান্থপথে। তাঁর দুই মেয়ে রাজধানীর ইস্কাটনে একটি স্কুলে পড়ে। সাবেরা বলেন, আজ সোমবার (১৬ মে) সকাল ৭টায় ছোট মেয়েকে গাড়িতে করে স্কুলে পৌঁছে দিতে লেগেছিল ১০ মিনিট। আর বেলা পৌনে ১১টায় বড় মেয়েকে ৫০ মিনিটেও তিনি ইস্কাটনের স্কুলে পৌঁছে দিতে পারেন নি। সাবেরা ইসলাম বলেন, ‘আজ যে কী হয়েছে, কে জানে। বড় কোনো অনুষ্ঠান আছে কি না, তা জানি না। এত জ্যাম।’ প্রিয়তোষ দাশ আজ রাজধানীর আদাবরের ১৩ নম্বর থেকে বাসে মহাখালীতে অফিসে গেছেন দেড় ঘণ্টায়। মহাখালী যেতে প্রথমে বড় যানজটে পড়েন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত তীব্র জট। সেখান থেকে বের হয়ে আসার পর আবার মহাখালীতে এসে যানজটের মধ্যে পড়েন। গত শুক্র ও শনিবার ছিল সরকারি ছুটি। এরপর গতকাল রোববার বুদ্ধপূর্ণিমা। সব মিলিয়ে তিন দিনের ছুটির পর অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ খুলেছে। গাড়ির চাপ বেশি থাকায় রাজধানীর কিছু এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহাখালী ট্রাফিক অঞ্চলের সহকারী কমিশনার আশফাক উদ্দিন। শ্যামলীর বাসিন্দা মনজুরুল হক সকাল ৯টায় বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন ফার্মগেটের উদ্দেশে। শ্যামলী থেকে ফার্মগেট যেতে তাঁর সময় লেগেছে দেড় ঘণ্টা। মনজুরুল হক প্রচণ্ড বিরক্ত এই যানজট নিয়ে। তিনি বললেন, এটুকু পথের দূরত্ব চার কিলোমিটারের কিছু বেশি, অথচ সময় লাগল এত। এ বিষয়ে গাবতলী দারুস সালাম ট্রাফিক অঞ্চলের সহকারী কমিশনার ইফতেখাইরুল ইসলাম বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বলেন, সকালে শ্যামলীর প্রবেশমুখে গাড়ি ঢুকতে কিছুটা সমস্যা ছিল। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে স্কুল–কলেজের গাড়ির চাপের কারণে এমনটি হয়েছে। এখন আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর বিজয় সরণি থেকে ফার্মগেটের রাস্তায় যানজটে আটকে ছিল অনেক যানবাহন। মিরপুর ডিওএইচএস থেকে মতিঝিলগামী একটি বাসের চালকের সহযোগী আবদুর রহমান বলেন, ‘২৫ মিনিট ধরে খাঁড়াই আছি’।