যশোরে সোনা পাচারকারী চক্রের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ : নিহত ১।

যশোরে সোনা পাচারকারী চক্রের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ : নিহত ১।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; যশোর : যশোরের শার্শা উপজেলায় সোনা পাচারকারী চক্রের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক চোরাকারবারি নিহত ও দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (পহেলা সেপ্টেম্বর) রাতে শার্শা উপজেলার জামতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ৩০টি সোনার বার জব্দ করেছে। সোনার বারগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

নিহত ব্যক্তির নাম অলি মাকড়া (৩৬)। তিনি শার্শা উপজেলার ফুলপুর গ্রামের জাহান আলীর ছেলে। সোনার পাচারের চেষ্টার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন কুমিল্লার হোমনা উপজেলার সাজাদিয়া গ্রামের রবিন সরকার (৩৫) ও পাঁচগাছিয়া গ্রামের আবুল কাশেম (৩০)।

পুলিশ জানায়, ভারতে সোনা পাচার হতে পারে– এমন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার জামতলার পাঁচপুকুর এলাকার ওরিয়েন্টাল অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সামনে নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কে যশোর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও শার্শা থানা-পুলিশ যৌথভাবে অবস্থান নেয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেখান দিয়ে দ্রুতগামী একটি সাদা প্রাইভেটকার যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশ প্রাইভেটকারটির গতিরোধ করে।

পুলিশ সূত্র জানায়, থামানোর পর প্রাইভেটকারে থাকা রবিন সরকার ও চালক আবুল কাশেমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা কুমিল্লা থেকে এসেছেন বলে জানান। একপর্যায়ে তাঁদের দেহ ও প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিতে রবিনের শরীরে বাঁধা ও প্রাইভেটকারের সামনের দিকে রাখা ৩০টি সোনার বার জব্দ করা হয়। সোনার বারগুলোর ওজন ৯ কেজি ৭৫৮ গ্রাম। এ ঘটনায় রবিন ও আবুল কাশেমকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি প্রাইভেটকার ও তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। পরে আটক ব্যক্তিদের সোনার বার নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় মহাসড়কের দুই দিক থেকে ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে করে কয়েক ব্যক্তি এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে চার-পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ছুড়লে তাঁরা পালিয়ে যায়। 

চোরাকারবারীদের ছোড়া ককটেলে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৫ শ গজ দূরে গুরুতর আহত অবস্থায় মোটরসাইকেলের নিচে চাপা পড়া অলি মাকড়া নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

যশোরের নাভারন সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, পুলিশের ওপর চোরাকারবারিরা ককটেল হামলা চালায়। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে তাঁরা পালিয়ে যায়। এ সময় একজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনা আটক দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।