মলমূত্র ও আবর্জনার স্তুপের উপর দিয়ে বিদ্যালয়ে যান ৩ হাজার শিক্ষার্থী!

মলমূত্র ও আবর্জনার স্তুপের উপর দিয়ে বিদ্যালয়ে যান ৩ হাজার শিক্ষার্থী!
ডন প্রতিবেদক, কুলেন্দু শেখর দাস, সুনামগঞ্জ : হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারে অবস্থিত প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থীকে মলমূত্র ও ময়লা-আবর্জনার স্তুপের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত দুটি বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। তাহিরপুরের বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও বাদাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় বিদ্যালয়ের প্রধান সড়কের সামনে এমন চিত্র ধারণ করেছে কয়েক বছর ধরেই। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার এ প্রধান সড়কের এমন বেহাল দশা দূর করতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও নজর দিচ্ছেন না। শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা জানান, সড়কের পাশে থাকা টিউবওয়েলের চারপাশজুড়ে সবসময় ময়লা-আবর্জনার স্তুপ দীর্ঘদিন ধরেই পড়ে রয়েছে। আর সেই স্তুপের ওপর লোকজন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেন। এ টিউবওয়েলের পাশেই মলমূত্র ত্যাগ করছেন অনেকে। আর এর পাশ দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করছে শিক্ষার্থীরা। এতে দুর্গন্ধে তাদের নাভিঃশ্বাস হওয়ার উপক্রম। বিষয়টি চরম রকমের স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের হুমকিও। এ ব্যাপারে উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ুয়া নাফিসা খাতুন ও বাদাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া জাহিদ আলম বলেন, বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে টিউবওয়েলের সামনে এলে সবাই নাক চেপে ময়লা আবর্জনা পায়ে মাড়িয়ে দূর্গন্ধ সয়ে চলাচল করছি আমরা। গত কয়েক বছর ধরেই এই এটা সহ্য করতে হচ্ছে আমাদের। আবর্জনার স্তুপ ও দুর্গন্ধ দিনদিন বাড়ছেই। আমরা কবে এই দুর্ভোগ, দুর্গন্ধ হতে রেহাই পাবো।? উপজেলার বাদাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থী তাহমিন সরোয়ার আদ্রিতাসহ অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা দ্রুত সড়কের পাশ থেকে ময়লা আবর্জনা সড়িয়ে নিতে এবং বিদ্যালয় দুটিতে আসা যাওয়ার প্রধান সড়কটিকে দৃষ্টিনন্দন সড়কে রূপান্তরিত করার জোড় দাবি তুলেছে। উপজেলার বাদাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদেরকে বছরে যে পরিমাণ সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়, তাতে এ সড়ক ঠিক করাসহ পরিস্কার করার মতো সামর্থ্য হয় না। এ সড়কটি থেকে আবর্জনা সরাতে ও এখানে মলমূত্র ত্যাগ থেকে বিরত রাখতে হলে জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনকেই এগিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, আবর্জনা পরিস্কার করে ছাত্র-ছাত্রীদের এ সড়কে আসা যাওয়ার দুর্ভোগ দ্রুত সময়ের মধ্যে দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সড়কটি নতুন করে নির্মাণ করতে চাই আমরা। এজন্য উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকেসঙ্গে নিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে উপজেলা পরিষদের পক্ষ্য থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।