মালদ্বীপে মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপিত

মালদ্বীপে মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ ও ডন; আবদুল্লাহ কাদের, মালদ্বীপ : মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশন  কর্তৃক দিনব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন করা হয়েছে করা হয়। প্রত্যুষে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

বিজয় দিবস উপলক্ষে সান্ধ্যকালীন আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ।

অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীগুলো পাঠ করেন যথাক্রমে মিশনের দ্বিতীয় সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, মিজ শিরিন ফারজানা ও কল্যাণ সহকারী আল মামুন পাঠান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দূতালয়ের প্রধান সোহেল পারভেজ স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশের সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন। পারভেজ প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান। বিজয় দিবসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করেন ডা. জেবা উন নাহার ও ন্যাশনাল ব্যাংক মানি ট্রান্সফারের সিইও মাসুদুর রহমান।

তাঁরা দেশের ক্রমবর্ধমান বিভিন্ন উন্নয়ন ও বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের বিষয়ে গুরত্বারোপ করেন। 

পর্যায়ক্রমে মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নমূলক প্রামাণ্য চিত্র এবং হাইকমিশনের গত এক বছরের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের উপর স্লাইড প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবুল কালাম আজাদ গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি উল্লেখ করেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্নকে হত্যা করা যাবে না। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে এ পরিণত হয়েছে।’ 

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ ও তা পালনের উপর গুরুত্ব প্রদান করেন তিনি। 

সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। 

মালদ্বীপের মালেতে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।