ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও জালিয়াত আব্দুছ ছালামকে নিয়ে বড় প্রশ্ন

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও জালিয়াত আব্দুছ ছালামকে নিয়ে বড় প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : আব্দুছ ছালাম আজাদ ১৯৫৮ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার চর নবীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আমাদের শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুছ ছালাম আজাদকে নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৩ বছর থাকা অবস্থায় আব্দুছ ছালাম আজাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এলাকায় কোনও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি কোনও ঘটনার কথা বলতে পারেন নি। এই যখন অবস্থা তখন এলএটিআর (বিশ্বাসের ভিত্তিতে ঋণ) এবং আইবিপিসহ (অভ্যন্তরীণ বিল ক্রয়) বেশ কয়েক পন্থায় ঋণ জালিয়াতি করেছেন আব্দুছ ছালাম আজাদ। তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতা ব্যাংকের সদ্য সাবেক হওয়া এমডি। তাঁর আমলে এস আলম গ্রুপে ১৭ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি হয়। এর আগে ব্যাংকটিতে গ্রুপটির জালিয়াতির পরিমাণ ছিলো স্বল্প। এরপর আব্দুছ ছালাম আজাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনে যেসব অভিযোগ উঠে এসেছে, সেগুলো হলো : জালিয়াত, জালিয়াতে সহায়তাকারী, রাষ্ট্রের অর্থ লুটপাটে সহায়তাকারী, ঋণ প্রদানে কমিশনগ্রহণকারী, ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দিয়ে সেগুলো আত্মসাৎকারী, নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অনিয়মকারী আব্দুছ ছালাম আজাদ। অথচ আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে কোনও আদালত কর্তৃক ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হই নি কিংবা কোনও জাল-জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্যবিধ অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলাম না বা জড়িত নই এই মর্মে ঘোষণাপত্র দিতে হয়। আর ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর নিযুুক্তি বিধানাবলী ও দায়দায়িত্ব সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে : কোনও ফৌজদারি আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হন নি। তিনি কোনও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের বিধিমালা, প্রবিধান বা নিয়মাচার লঙ্ঘনজনিত দণ্ডিত হন নি। প্রধান নির্বাহী নিয়োগের স্বচ্ছতা ও আর্থিক সংহতির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্যাংকিং কিংবা স্বীয় পেশায় দায়িত্ব পালনকালে কোনোরূপ অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না, এমন ব্যক্তিকে নিয়োগের আগে স্পষ্ট হতে হবে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকেরই বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইউ) প্রতিবেদনে আব্দুছ ছালাম আজাদকে জালিয়াতরূপে দেখানো হয়েছে এবং ২০১৮ সালেই অ্যাননটেক্স গ্রুপের জালিয়াতি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারিত হয়। আর অ্যাননটেক্স গ্রুপকে যখন এসব ঋণ দেওয়া হয়, তখন আব্দুছ ছালাম আজাদ ছিলেন জনতা ব্যাংকের ভবন শাখার ব্যবস্থাপক। এরপরও ২০২০ সালে তাঁকে জনতা ব্যাংকে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়। আর তাতে অনাপত্তিপত্র দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

অভিযোগের ব্যাপারে জানার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হককে ফোন দিলে তাঁর ফোনটি ওয়েটিংয়ে পাওয়া যায়। পরে তিনি কল ব্যাক করলে আব্দুছ ছালাম আজাদের দ্বিতীয় মেয়াদের নিয়োগের অনাপত্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় যে, বিএফআইইউর প্রতিবেদন প্রদান এবং গণমাধ্যমে আব্দুছ ছালাম আজাদের জালিয়াতির ব্যাপারে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরও কেনো তাঁকে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ প্রদানের ক্ষেত্রে অনাপত্তিপত্র দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক- এমন প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, বিএফআইউ দুইভাবে তাঁদের তদন্ত করে। যখন তাঁদের তদন্তে কোনও অনিয়ম উঠে আসে, তখন তাঁরা সিআইডিকে দিয়ে তদন্ত করায়। আর কোনও ব্যক্তি দুদক কিংবা অন্যান্য সংস্থার কাছে দোষী প্রমাণিত না হলে তো তাঁকে অপরাধী বলা যাবে না।

‘তাহলে একটি তদন্ত শেষ হতে ১০ বছর সময় লাগবে, আর একজন এমডি ২ মেয়াদ এমনকি ৩ মেয়াদে রাষ্ট্রের সম্পদ খালি করে দিয়ে চলে যাবেন, এরপরও আপনারা অনাপত্তিপত্র দেবেন?’- এমন প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, ‘দেখেন এ প্রশ্নের আমি জবাব দেবো না। তাঁর (আব্দুছ ছালাম আজাদ) নিয়োগটি যথাযথভাবে হয়েছে।’

কোনও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে কোনও আদালত কর্তৃক ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হই নি কিংবা কোনও জাল-জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্যবিধ অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলাম না বা জড়িত নই এই মর্মে ঘোষণাপত্র দিতে হয়- এ ব্যাপারে জানতে বিদায় নেওয়া জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আব্দুছ ছালাম আজাদকে খুদেবার্তা পাঠিয়ে ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু ফোন ধরেন নি তিনি।

সূত্র জানায়, জনতা ব্যাংকে বর্তমানে যে সকল ঋণ জালিয়াতি আলোচিত, এর প্রায় সবগুলোতেই জড়িত ছিলেন আব্দুছ ছালাম আজাদ। তিনি সেই ব্যবস্থাপক থাকা অবস্থা থেকেই এসব জালিয়াতিতে জড়িত। আর মূলত ‘প্রভাবশালী’ কিছু গোষ্ঠীকে জালিয়াতির মাধ্যমে এসব ঋণ দেওয়ার কারণেই আব্দুছ ছালাম আজাদকে নজিরবিহীন তড়িঘড়ি করে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) করা হয়। এক্ষেত্রে মাত্র ১ বছরের মধ্যেই আব্দুছ ছালাম আজাদ বনে যান জিএম (মহাব্যবস্থাপক) থেকে এমডি। প্রথমে তাঁকে জনতা ব্যাংকের জিএম থেকে পদোন্নতি দিয়ে কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি (উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক) করা হয়। আর এর কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে আবারও জনতা ব্যাংকে ফিরিয়ে আনা হয়, তবে এবার তিনি হয়ে যান ব্যাংকটির এমডি।

সূত্র জানায়, এস আলম, অ্যাননটেক্স এবং বিসমিল্লাহ গ্রুপ থেকে শুরু করে বড় বড় ঋণ জালিয়াতিগুলোই হয়েছে আব্দুছ ছালাম আজাদের পরোক্ষ সহায়তায় এবং আমলে। আর মূলত এসব জালিয়াতি ঢাকতে অর্থাৎ জালিয়াতির মাধ্যমে নেওয়া ঋণকে খেলাপি না দেখাতে প্রভাবশালীরা আব্দুছ ছালাম আজাদের জন্য দ্বিতীয় দফায় তদবির করেন এমডি হিসেবে পুনর্নিয়োগের জন্য। এক্ষেত্রে তাঁরা অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে তদবির করে সফলও হন। অথচ অর্থ মন্ত্রণালয় ওই সময় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এ ব্যাংকে আব্দুছ ছালাম আজাদকে এমডি হিসেবে পুনর্নিয়োগ প্রদান করলেও বাংলাদেশ ব্যাংক তাতে আপত্তি জানাতে পারতো।

উল্লেখ করা যেতে পারে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের পরিচালক এবং এমডি নিয়োগ দিয়ে থাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। তবে তাতে অনাপত্তি দিতে হয় বাংলাদেশ ব্যাংককে। এক্ষেত্রে আব্দুছ ছালাম আজাদের অনাপত্তি নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

এক্ষেত্রে অভিযোগ রয়েছে প্রভাবশালীদের ‘ইশারায়’ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সদিচ্ছায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপারিশে দ্বিতীয় মেয়াদে এমডি হন আব্দুছ ছালাম আজাদ।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, অনেক সময় অর্থ মন্ত্রণালয় আর্থিক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত বিষয় না জেনেই কাউকে নিয়োগ দিয়ে থাকে। তখন বাংলাদেশ ব্যাংককে কোনোভাবেই অনাপত্তিপত্র দেওয়া উচিত নয়। কারণ আর্থিক সংক্রান্ত সকল বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই তাঁদের কাছেই সকল তথ্য-উপাত্ত থাকে। আর কোনও নিয়োগ নিয়ে অনাপত্তি দিলে অবশ্যই অর্থ মন্ত্রণালয় তা বিবেচনা করে দেখবে। কারণ অনাপত্তি না পেলে এমডি নিয়োগ সম্ভব নয়। সুতরাং বিষয়গুলো বাংলাদেশ ব্যাংককে অবশ্যই অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে, আবার অর্থ মন্ত্রণালয়ও নিয়োগ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে জেনে নিতে পারে।

কী ছিলো বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তদন্ত প্রতিবেদনে : জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুছ ছালাম আজাদ শাখা ব্যবস্থাপক থাকা অবস্থায় ব্যাংকের গ্রাহক সিমি নিট টেক্সটাইলের অনুকূলে প্রকল্প স্থাপনের জন্য ৯৫ কোটি ২৯ লাখ টাকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণ মঞ্জুর করেন। এসব ঋণের মধ্যে বৈদেশিক যন্ত্রপাতি আমদানির লক্ষ্যে মার্কিন ডলার ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা মূল্যের ঋণপত্র (এলসি) খোলার অনুমোদন দেন তিনি। আমদানিকৃত মূল্যের মেশিনারিজ সরবরাহকারী ৩ প্রতিষ্ঠানের (ওয়াইসুক ওভারসিজ, ইউনিভার্সেল টেকনোলজিক্যাল সার্ভিসেস ও ইউনি এশিয়া অ্যাসোসিয়েটস) ইউএসএ ও জার্মানির বলা হলেও কিন্তু প্রাইম ব্যাংকের পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ইউনিভার্সেল টেকনোলিজিক্যাল সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠানটি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ও এর মালিক হলেন অ্যাননটেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউনুছ বাদল।

প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিনটি ইনডেন্টর হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু প্রাইম ব্যাংক ও ইউসিবিএল কর্তৃক প্রতিষ্ঠানটির কোনও চুক্তিপত্র তথা প্রিন্সিপাল-ইনডেন্টর মধ্যকার চুক্তিপত্র ও ইন্ডেটিং রেজিস্ট্রেশন সার্ভিসের কপিও সরবরাহ করতে পারে নি। প্রতিষ্ঠান তিনটির নামে দুটি ব্যাংকের কোনও আইআরসি বা ইআরসির কপি সংরক্ষিত ছিলো না এবং মেশিনারিজ সরবরাহকরণের নামান্তরে ব্যাংক দুটি বিপুল পরিমাণ মূল্য গ্রহণ করলেও প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও তথ্য ব্যাংক দুটিতে সংরক্ষিত নেই। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো কর্তৃক জার্মানি ও ইউএসএ’র কান্ট্রি অব অরিজিন সম্বলিত পণ্য সরবরাহ করার বিষয়টি সন্দেহজনক এবং সরবরাহকারী একই প্রতিষ্ঠানের নামে দুটি ব্যাংকে ভিন্ন মালিকানায় হিসাব পরিচালিত হওয়া বিষয়টিও সন্দেহজনক। এ অবস্থায় আমদানিকারক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাননটেক্স গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সংশ্লিষ্ট হওয়ায়; সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আন্তঃলেনদেন থাকায় আমদানিকৃত মেশিনারিজের কান্ট্রি অব অরিজিন জার্মানি ও ইউএস হওয়ায়; সরবরাহকৃত প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মধ্যে লেনদেন সম্পাদন করছে মর্মে ধারণা করা যায়, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী সম্পৃক্ত অপরাধ।

আবার পণ্য প্রকৃতই সরবরাহ করা হয়ে থাকলে মেশিনারিজগুলো বাংলাদেশে আনয়নের প্রমাণস্বরূপ কোনও তথ্য না থাকায় বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। আর সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টিও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী সম্পৃক্ত অপরাধ।

জানা গেছে, বিএফআইইউ’র এ প্রতিবেদন দাখিলের পর আবার ২০১৮ সালে আব্দুছ ছালাম আজাদের জালিয়াতি সংক্রান্ত বিষয়ে অ্যাননটেক্সের জালিয়াতি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। অথচ এরপরও বাংলাদেশ ব্যাংক অনাপত্তিপত্র দেয় আব্দুছ ছালাম আজাদকে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র আরও জানায়, সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে জনতা ব্যাংকের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকেও আব্দুছ ছালাম আজাদের জালিয়াতির ব্যাপারে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ইতোমধ্যে দুদকে কিছু তথ্য প্রেরণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাদবাকি ডকুমেন্টগুলো প্রেরণের প্রক্রিয়াধীন।

(আগামীকাল পড়ুন জনতা ব্যাংকের সাবেক এমডি আব্দুছ ছালাম আজাদকে নিয়ে চতুর্থ পর্ব)