ভারত সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী : পাশাপাশি দেশের সমস্যা থাকে, সমাধানও থাকে।

ভারত সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী : পাশাপাশি দেশের সমস্যা থাকে, সমাধানও থাকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘দুই দেশ পাশাপাশি হলে সমস্যা থাকে, সমাধানও থাকে। তবে সুখের বিষয় যে, ভারত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, যাতে কোনও ধরনের অস্থিতিশীলতা বা উত্তেজনা না হয়।’

বুধবার (১৬ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে দিল্লীতে অনুষ্ঠেয় যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। 

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের স্মরণসভার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আগামী ১৯ জুন নয়াদিল্লীতে সপ্তম যৌথ পরামর্শক কমিশন (জেসিসি) বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ-ভারত। 

জেসিসিতে আলোচনার বিষয়বস্তু জানতে চান সাংবাদিকেরা। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো নদী সম্পর্কে আলাপ আছে; ফেনী আছে, কুশিয়ারা আছে। সেগুলো আলাপ করবো। আগেও আলাপ করেছি, এখনো আলাপ করবো।’

ড. মোমেন আরও বলেন, ‘আমাদের সব সময় যেসব আউসস্টেডিং ইস্যু আছে, সেগুলো নিয়ে আলাপ হবে। পাটের ওপর অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক নিয়ে আলাপ হবে, নদী নিয়ে আলাপ হবে, বর্ডার ইস্যু, এনার্জি সিকিউরিটি; এটা নতুন ইস্যু। আগের ইস্যু নিয়েও আলাপ হবে। আলাপের পরিধি অনেক বৃহৎ, অনেক অনেক।’

ভারত থেকে গম আমদানি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে গম রপ্তানিতে তাঁরা (ভারত) রাজি হয়েছে, অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশে যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে আনতে চান, তাঁরা পারবেন। তবে, তাঁরা সেটা তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করতে পারবেন না।’

যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘জেআরসির মিটিং হয় নি। আমরা চেয়েছিলাম। আসামে তাঁদের সঙ্গে আলাপ করেছিলাম। জেআরসির জন্য তাঁরা রেডি না।’

মুহিত দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন : স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আবুল মাল আব্দুল মুহিত এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যাঁকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম অনুসরণ করে যাবে। মুহিত সাহেব মোট ১১ বার, এর মধ্যে টানা ৯ বার জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করেছিলেন। আমরা তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।’

স্পিকার বলেন, ‘কোনও প্রস্তাব যুক্তিসঙ্গত হলে, মানুষের কল্যাণের জন্য হলে তিনি তা গ্রহণ করতেন। মুহিত সাহেব অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান ও দূরদর্শী ছিলেন। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আবুল মাল আব্দুল মুহিত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন।’

নিজের ভাইয়ের ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৮ এই সময়কালে মুহিত ভাই জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান এবং তখন থেকেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী হবে, পদক্ষেপ কী হওয়া উচিৎ, তা নিয়ে অনেক কাজ করেন। মুহিত ভাই ছিলেন অত্যন্ত জিনিয়াস। আর তাঁর এই মেধাকে যিনি দেশের কাজে লাগিয়েছেন, তিনি আর কেউ নন- তিনি আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা।’

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) সভাপতি এম এ মুবিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিপিএমসিএ’র মহাসচিব ডা. আনোয়ার হোসেন খান, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার, আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বোন জাতীয় অধ্যাপক ডা. শায়লা খাতুন।