ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল : হাঁটু পানি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল : হাঁটু পানি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় : সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি। গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বর্তমানে বন্যার কবলে আছে সিলেটের মানুষ এবং প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে সুরমা-কুশিয়ারার পানি। এ অবস্থায় নগরের পাশাপাশি বন্যার পানি ঢুকেছে শাবিপ্রবির ক্যাম্পাসেও। এতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠেছে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের এক কিলো রোডে, চেতনা-৭১ এর সামনে, একাডেমিক ভবন এ, বি, ডি ও ই-এর সামনে, ইউনিভার্সিটি সেন্টার, প্রথম ছাত্রী হল এবং প্রধান প্রধান সড়কগুলোর অধিকাংশ জায়গায় হয়ে গেছে হাঁটুপানি। এতে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

এদিকে বন্যার পানি বাড়ায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বিষাক্ত পোকামাকড়, সাপ ও কেঁচোর উপদ্রব বেড়েছে। এতে শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।

বন্যার কথা জানিয়ে প্রথম ছাত্রী হলের শিক্ষার্থী রায়হানা ইসলাম বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ক্যাম্পাসে পানি থেকেও বড় সমস্যা হলের পানি, নেটওয়ার্ক ও বিদ্যুৎ। পানি বাড়ার কারণে হলের মটর খুলে ফেলা হয়েছে। এখন ট্যাঙ্কে যে পানি আছে, ওটাই ভরসা। বিদ্যুৎ নেই, আজ (বৃহস্পতিবার) রাতে আসবে কিনা তাও জানি না।

তিনি আরও বলেন, এক কিলো ও হলের আসা-যাওয়ার রাস্তায় পানি থাকায় গাড়ি চলাচল করছে না। টমটম ও অটোরিকশাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এতে আমাদের যাতায়াত করা কঠিন হয়ে উঠেছে। আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর রহমান তারেক বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, হঠাৎ করে ক্যাম্পাসে পানি উঠায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। পানির কারণে প্রধান কয়েকটি সড়ক ডুবে গেছে। আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়ছি। 

‘এ ছাড়া মেসে থাকা অনেক শিক্ষার্থী বন্যার পানির কারণে বিপাকে পড়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, আমরা হলে প্রভোস্টসহ সবার সঙ্গে কথা বলেছি। ক্যাম্পাস ও হলের আশপাশে পানি বাড়ায় পোকামাকড় ও সাপের উপদ্রব বাড়ছে। হলের শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে বলেছি। তাঁদের প্রতি আহ্বান থাকবে, রাতে ঘুমানোর সময় যাতে মশারি টানিয়ে ঘুমায়।