বাংলাদেশের ফুটবলারদের সঙ্গেও দেখা হয়েছিলো পেলের

বাংলাদেশের ফুটবলারদের সঙ্গেও দেখা হয়েছিলো পেলের

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তি পেলে বাংলাদেশে না এলেও তিনি বাংলাদেশের নাম শুনেছিলেন।

বাংলদেশের অনেকের সঙ্গেই তাঁর কথা হয়েছিল। বাংলাদেশে আসতেও চেয়েছিলেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তাঁর আসা হয় নি। বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের সঙ্গে পেলের কয়েকবার দেখা হয়। সালাহউদ্দিন ছিলেন খেলোয়াড়। আর যখন বাফুফের সভাপতি ছিলেন, তখনো পেলের সঙ্গে দেখা হয়েছিলো।

সালাউদ্দিন জানান, ১৯৭৭ সালে কসমস ক্লাবের হয়ে মোহনবাগানের বিপক্ষে তিনি যখন খেলতে কলকাতা গিয়েছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিলো। কথা হয়েছিলো খুব অল্প। কেমন আছেন? আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি— এমন। এরই মধ্যে তাঁকে বলেছিলাম, বাংলাদেশে আসতে চান কি-না। পেলে বলেছিলেন, আমাকে চিঠি দাও। আমি আসবো।

সালাহউদ্দিন বলেন, এরপর তার সঙ্গে দেখা হয়েছিলো ২০০৬ সালে জার্মানিতে বিশ্বকাপ ফুটবলের ড্র অনুষ্ঠানে। ১৯৭৭ সালে তিনি বাংলাদেশে আসার আগ্রহ দেখালেও তাঁকে আনার কোনও উদ্যোগ নিতে পারি নি। কারণ, আমি তখন তো ফেডারেশনের সভাপতি ছিলাম না।

বাফুফের সভাপতি হওয়ার পর সালাহউদ্দিনের সঙ্গে ফিফার অনুষ্ঠানেও দেখা হয়েছিলো তাঁর। ফিফার মিটিংয়ে দেখা হয়েছিলো পেলের সঙ্গে। সংবাদমাধ্যমকে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সভাপতি হওয়ার পর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তখন তাঁর শারীরিক অবস্থাটা ভালো ছিলো না। আমিও আর এটা নিয়ে ভাবি নি।’

বাফুফের আরেক সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণের সঙ্গেও ফিফার অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিলো পেলের। চমকে গিয়েছিলেন কিরণ, যার নাম শুনেছেন সেই ফুটবলার এসেছিলেন একটি অনুষ্ঠানে। কিরণের সঙ্গে কথাও বলেছেন। ছবি তুলেছেন পেলে। বাফুফেতে কিরণের রুমে পেলের সঙ্গে ছবি রয়েছে। কিরণের অভিজ্ঞতা হলো, পেলে খুবই অমায়িক।

সাবেক ফুটবলার গোলাম রাব্বানী হেলালের সঙ্গেও দেখা হয়েছিলো পেলের। ছবি তুলেছেন পেলের সঙ্গে। প্রয়াত এই সাবেক ফুটবলার বেঁচে থাকা অবস্থায় পেলে এবং ম্যারাডোনার সঙ্গে দেখা হওয়ার গল্প করেছেন বহুবার।

বর্ষীয়ান রাজনীতিক, সাবেক তারকা ফুটবলার মেজর (অবসর) হাফিজ উদ্দিনের সঙ্গেও পেলের দেখা হয়েছিলো। হাফিজ উদ্দিন ছিলেন বাফুফের সভাপতি। সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফার সভায় হাফিজ উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় পেলের। এএফসি এবং ফিফার কমিটিতে থাকাকালীন একাধিকবার দেখা হয়েছিলো পেলে এবং হাফিজ উদ্দিনের সঙ্গে। পেলেকে ডিকো নামেও ডাকা হতো। হাফিজ উদ্দিন সেই নামে মিল রেখে নিজের ছেলের নাম রেখেছিলেন। কথাটা জানিয়েছিলেন পেলেকে।