বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক চিরকাল অটুট থাকবে : আমির হোসেন আমু

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক চিরকাল অটুট থাকবে : আমির হোসেন আমু

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক চিরকাল অটুট থাকবে।

রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় যাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আজ বুধবার (২৯ মার্চ) বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার, তাদের জনগণ এবং সেনাবাহিনীর ভূমিকা কোনোদিন ভোলার নয়। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর এই বন্ধনে অনেকে ফাটল ধরাতে চায়। সে বিষয়ে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করতে স্বাধীনতার ঘোষকের তালিকায় অনেকের নাম বলা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কেবল বঙ্গবন্ধু নয়, স্বাধীনতা বিরোধীদের মূল লক্ষ্য স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে বিতর্কিত করা। এর মধ্য দিয়ে তারা স্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে চায়।

আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, দুই দেশের বন্ধন বহুকালের। ১৯৭১ সালে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ়তা ও অটুট হয়েছে। সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত।

মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার অভীষ্ট লক্ষে বাংলাদেশ-ভারতকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমাদের সম্পর্কে রক্তের।

বেনজীর আহমেদ বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও এই দেশকে পাকিস্তান বানানোর তৎপরতায় লিপ্ত ছিল। তার মন্ত্রিসভায় স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজসহ মুসলিম লীগের নেতারা ছিলেন।

বাসন্তী চাকমা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক যেন অটুট থাকে, কেউ যেন ভাঙন ধরাতে না পারে। দুই দেশের জনগণকেই এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের তিনটি বিষয় আছে। ভারত সরকার, ভারতীয় জনগণ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী এই তিনটি বিষয়কে আমাদের কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণে রাখতে হবে। রক্তের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এই সম্পর্ককে আমাদের ধরে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কখনও পাকিস্তানের তুলনা চলে না। এর কারণ, পাকিস্তান একটি বাজে রাষ্ট্র। পাকিস্তানের অর্থনীতি, রাজনীতিসহ কোনো কিছুই বাংলাদেশের সমকক্ষ নয়।

নারায়ণ সাহা মনি বলেন, ভারতের সর্বাত্মক সহযোগিতা ছাড়া আমাদের স্বাধীনতা অর্জন সহজ ছিলো না। দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধী ও জনগণ যে সহযোগিতা করেছিলো, বিশেষ করে এক কোটি বাঙালি শরণার্থীকে ১৯৭১ সালে ভারতীয় জনগণ আশ্রয় দিয়েছিলো। ভারতীয় বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য তখন আত্মাহুতি দিয়েছিলো। এই অবদান কখনও ভোলার নয়।