ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়েছে আইএমএফ

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : দেশের ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি বিমা, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং ক্ষুদ্র ঋণসহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডাটাভিত্তিক হালনাগাদ তথ্য জানতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

সম্প্রতি আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে এসব বিষয় উঠে আসে।

এ ছাড়া বৈঠকে সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমানো এবং ব্যাংকের পরিচালকদের ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কারের অনমনীয় মনোভাব দেখিয়েছেন আইএমএফের সদস্যরা।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফ’র স্টাফ ভিজিট একটি নিয়মিত কাজ। সদস্য সব রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির আলোকে সংস্থাটি সংস্কার নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে নিয়মিত তদারকি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্থনৈতিক সূচকগুলোর হালনাগাদ তথ্য নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেছে। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের নিজস্ব প্রয়োজনে কিছু সংস্কার নিয়ে কাজ করছি। এতে আইএমএফের চাহিদাও অনেকাংশে মিটে যাবে। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট, অনসাইট ও পরিসংখ্যান বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা তাঁদের চলমান কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, খেলাপি ঋণের বিষয়ে আইএমএফ খুবই সংবেদনশীল। তাঁরা খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চায়। তখন তাঁদের সামনে উপস্থাপন করা হয় যে, বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ কমাতে নিয়মিত তদারকি করছে। আর সরকারি ব্যাংকগুলোতে বাড়তি নজরদারি রেখেছে। এসব ব্যাংকের ঋণ কমাতে তাঁদের সঙ্গে এমওইউ করা হয়েছে। সেখানে কোন বছর কত অর্থ আদায় হবে সেটিও উল্লেখ রয়েছে। আর ব্যাংকের পরিচালকদের ক্ষমতার অপব্যহার কমাতে আইনের সংস্কার চেয়েছে আইএমএফ।

এ ছাড়া ব্যাংকের পাশাপাশি বিমা কোম্পানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ডাটাভিত্তিক হালনাগাদ তথ্য, পরিদর্শন প্রতিবেদন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদন সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিমা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন সংস্থা (আইডিআরএ), ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক অথরিটি এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন যৌথভাবে তাঁদের চাহিদামাফিক তথ্য সরবরাহ করবে।