‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সবার আগে প্রয়োজন কার্যকর জাতীয় নীতি।’

‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সবার আগে প্রয়োজন কার্যকর জাতীয় নীতি।’

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দাতা এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী নির্ভরশীল পরিকল্পনা ও প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে জ্বালানি খাতের নীতি-কাঠামো বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্ট দাতাদের কাছে অনেকাংশেই ‘জিম্মি’। আইনি দুর্বলতা, নীতিকাঠামোর জিম্মিদশা এবং স্বচ্ছতার ঘাটতিতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে রাষ্ট্র ও জনগণের ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে সরকারের অঙ্গীকার ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি থাকা স্বত্ত্বেও সে বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনও পদক্ষেপ দেখা যায় না।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সুশাসন নিশ্চিতে কার্যকর জাতীয় নীতি এবং তার আলোকে আইইপিএমপি প্রণয়ন করা প্রয়োজন। বুধবার (৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে টিআইবি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) আয়োজনে ‘বাংলাদেশে কয়লা ও এলএনজি বিদ্যুৎ প্রকল্পে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ : আইইপিএমপি প্রণয়নে শুদ্ধাচার নিশ্চিতে করণীয়’ শীর্ষক অধিপরামর্শ সভায় বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।

সভায় সূচনা বক্তব্য দেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন। 

এ সময় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবি সমিতি’র (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।

প্যানেল আলোচনাটি পরিচালনা করেন বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘বাংলাদেশে কয়লা ও এলএনজি বিদ্যুৎ প্রকল্প : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন টিআইবির জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো মাহফুজুল হক। 

সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞ ছাড়াও বরিশাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাঁশখালী এস এস বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং মাতারবাড়ী এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে সরাসরি ভুক্তভোগীরাও অংশগ্রহণ করেন।