বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও তাঁর কর্মী!

বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও তাঁর কর্মী!

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : বাংলাদেশ, ভারত, ইসরায়েল, রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যুগ্মভাবে ফ্যাট র‌্যাঙ্কে ১ নম্বর নিউজ এজেন্সি বাঙলা কাগজ ও আওয়ার ডন সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব কালাম আঝাদকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তাঁর এক কর্মী। আজ বুধবার (৮ জুন) সকালে সম্পাদক ও প্রকাশকের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে এ হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সম্পাদক ও প্রকাশক চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমানকে অবহিত করেছেন। আর এ ব্যাপারে এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন ওসি।

জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার ৫ নম্বর কেরণখাল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন সুমন ভূঁইয়া। আর দুইবার চেয়ারম্যান থাকার পর এবার নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত হন হারুনুর রশিদ। আর প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা হারুনুর রশিদকে মনোয়ন দেওয়ার কারণে নৌকাকে সমর্থন জানান বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব কালাম আঝাদ। উল্লেখ করা যেতে পারে, বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশকের গ্রামের বাড়ি এই ৫ নম্বর কেরণখাল ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সুমন ভূঁইয়ার নির্বাচনে অর্থকড়ি দিয়ে সহযোগিতা করেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি কর্নেল খন্দকার রশিদের বংশের লোকজন। এক্ষেত্রে খন্দকারেরা তাঁকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছে বলেই তরুণ হয়েও এগিয়ে ছিলেন সুমন ভূঁইয়া। পরে তিনি জয়লাভ করেন।

সূত্র আরও জানায়, সুমন ভূঁইয়া জয়লাভ করার পর আওয়ামী লীগের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি সৃষ্টিতে কাজ করে আসছেন। এক্ষেত্রে তিনি যাঁরা শেখ হাসিনা মনোনয়ন দেওয়ার পরও নৌকা প্রতীকের সমর্থন করেছিলেন, তাঁদেরকে ঝামেলায় ফেলার পাঁয়তারা করে আসছেন। এরই অংশ হিসেবে তিন তিনবারের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান কবির হোসেনের (কবির চেয়ারম্যান) ছেলে আলী হোসেনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। যা তিনি স্থানীয় সাংবাদিক দৈনিক কালের কণ্ঠ ও দৈনিক কুমিল্লার কাগজের চান্দিনা প্রতিনিধি রণবীর ঘোষ কিংকরের কাছে সরাসরি বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ছয়ঘড়িয়া গ্রামের সবাই আমার কাছে আসে। কিন্তু আলী হোসেন আমার কাছে আসে না। আমার কাছে কীভাবে আলী হোসেন না এসে থাকতে পারে, সেটি আমি দেখে নেবো।’ আর আলী হোসেন বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশকের শ্বশুর। আরও উল্লেখ করা যেতে পারে, জনাব কালাম আঝাদের বাড়ি তুলাতলী এবং চেয়ারম্যান সুমন ভূঁইয়া, সাবেক চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ এবং আলী হোসেনের বাড়ি তুলাতলীর পাশের গ্রাম ছয়ঘড়িয়ায়।

আর আলী হোসেনকে দেখে নেবার বিষয়টি জানতে পেরে বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশক বিষয়টি তাৎক্ষণিক চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানান। আর এ বিষয়ে জানার জন্য চেয়ারম্যান সুমন ভূঁইয়াকেও কল দেন। এতে সুমন ভূঁইয়া এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে গেলে বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশকও উত্তেজিত হয়ে যান। পরে আবার বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশক চেয়ারম্যান সুমন ভূঁইয়াকে ফোন দিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে দ্বন্দ্ব না করে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, বর্তমানে কুমিল্লা-০৭ (চান্দিনা)’র সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।

সূত্র আরও জানায়, চেয়ারম্যান সুমন ভূঁইয়া আলী হোসেনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর ৪ জুন রাতে আলী হোসেনের আরেক মেয়ের জামাই ওয়াসিম আকরামকে পরাজিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য গোলাম মোস্তফা ও তাঁর বাবাকে দিয়ে মার খাওয়ান এবং টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে নেন। এ ঘটনায় ওয়াসিম আকরাম ইতোমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং চান্দিনা থানার ওসি জানিয়েছেন, বিষয়টির ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আর এ ঘটনার ব্যাপারে বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব কালাম আঝাদ সুমন ভূঁইয়াকে ফোন দিলে তখনও তিনি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশক চেয়ারম্যান সুমন ভূঁইয়াকে তাঁর ঢাকা অফিসে যেতে বলেন। এই সময় জনাব কালাম আঝাদ আরও জানান, তিনি ১৫ দিন ঢাকায় এবং ১৫ দিন ঢাকার বাইরে থাকেন, সুতরাং চেয়ারম্যান যেনো তাঁকে ফোন দিয়ে দেখা করতে যান। 

এ ঘটনার পর আজ বুধবার (৮ জুন) সকাল ১১টা ৮ মিনিটে (01646248800) এই নম্বর থেকে বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশককে ফোন করে সুমন ভূঁইয়ার সঙ্গে বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশকের কথোপকথনের বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। পরে বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব কালাম আঝাদ ওই ব্যক্তিকে বিষয়টি খুলে বলেন, কিন্তু ওই ব্যক্তি সুমন ভূঁইয়ার কর্মীদের সঙ্গে কবে দেখা করবেন মর্মে জানান। তখন বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশক ঢাকায় বা গ্রামের বাড়িতে তাঁদেরকে এক সময় এসে দেখা করার জন্য বলেন। কিন্তু ওই ব্যক্তি (ট্রু কলারে ওই ব্যক্তির নাম এসেছে Ana) উল্টো বাংলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশককে এই মুহূর্তে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে যাওয়ার জন্য বলেন এবং বলেন, সম্পাদকের মায়ের কাছ থেকে শেষ বিদায় নিয়ে নেওয়ার জন্য।

বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশক ওই ব্যক্তির এমন হুমকির বিষয়ে জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমানকে ফোন দেন কিন্তু ওসি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর হোয়াটস অ্যাপে বিষয়টি সম্পর্কে জানান।

এ ব্যাপারে জানার জন্য চেয়ারম্যান সুমন ভূঁইয়াকে ফোন দেওয়া হলে তিনি বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশককে বলেন, ‘আমরা বসাতেই আছি, তু্ই এই মূহুর্তে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আসবি।’

কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার ৫ নম্বর কেরণখাল ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) চেয়ারম্যান সুমন ভূঁইয়ার এমন হুমকি পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশক চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমানকে ফোন দেন। তাঁকে বিষয়টি জানানোর পরপর ওসি বলেন, ‘আমি এখনই বিষয়টি দেখতেছি।’