পুলিশের কবজিকাটা সেই কবির র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার।

পুলিশের কবজিকাটা সেই কবির র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; চট্টগ্রাম : এজাহারভুক্ত এক মামলায় আটক করতে গেলে ধারালো দায়ের কোপে পুলিশ সদস্য জনি খানের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনার মূলহোতা ছয়টি মামলার আসামি সন্ত্রাসী কবিরকে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। 

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাতে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড় হাতিয়ার গহীন পাহাড়ি এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কবির ও তার সহযোগী কফিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার (২০ মে) সকাল ১১টার দিকে র‍্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, গত রোববার (১৫ মে) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার পদুয়া ইউনিয়নের লালারখিল এলাকায় এজাহারভুক্ত আসামি কবির আহমদকে আটক করতে গেলে তিনি অস্ত্রসহ ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশ সদস্যদের উপর চড়াও হন। পুলিশ সদস্য জনি তাকে বাধা দিলে কবিরের হাতে থাকা ধারালো দায়ের কোপে তাঁর বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয় কবির এবং ঘটনাস্থলে থাকা অন্য পুলিশ সদস্য শাহাদত হোসেনকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

পরে জনি খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য র‍্যাবের হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় প্রেরণ করা হয় এবং দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন কবজিটি জোড়া লাগাতে সক্ষম হন চিকিৎসকেরা।

তিনি আরও জানান, পুলিশ সদস্যের কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনার পর কবির তার সহযোগী কফিলকে নিয়ে বান্দরবনের দক্ষিণ হাঙ্গর এলাকার একটি দুর্গম পাহাড়ে আত্মগোপন করে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কবির তার সহযোগীসহ দ্রুত অবস্থান পরিবর্তন করে পুনরায় লোহাগাড়া থানার বড় হাতিয়ার গহীন পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান নেয়। 

কমান্ডার আল মঈন আরও জানান, র‍্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল লোহাগাড়া থানাধীন বড় হাতিয়ার গহীন পাহাড়ি এলাকায় অভিযানটি পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে কবির তার নিকট থাকা অস্ত্র দিয়ে র‍্যাব সদস্যদেরকে আঘাত করলে একজন র‍্যাব সদস্য আহত হন। এ সময় র‍্যাব পাল্টা গুলি চালায়। এবং পরে ঘটনাস্থল হতে কবিরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সদস্যদের জখমে ব্যবহৃত একটি দা, একটি ওয়ান শুটার গান, তিন রাউন্ড গুলির খোসা, তিন রাউন্ড তাজা গুলি, দুইটি হাসুয়া, একটি ছুরি, ১৮০ পিস ইয়াবা, দুইটি  মোবাইল ও দুইটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।

ছয় মামলার আসামি কবির এখন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।