প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেলো প্রায় ৩০০ অভিবাসী নারী-পুরুষ

প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেলো প্রায় ৩০০ অভিবাসী নারী-পুরুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ; মনির হোসেন, বেনাপোল : পদক্ষেপ নেওয়ায় আর্থিক লেনদেনের হাত থেকে রক্ষা পেলেন প্রায় ৩০০ অভিবাসী নারী-পুরুষ। আজ শনিবার (১৮ মে) বেলা ১২টার দিকে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে যশোর জেলার শার্শা উপজেলাধীন বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন রোডস্থ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন কার্যালয়ে।

ঘটনার বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রায় ৩০০ অভিবাসী নারী-পুরুষকে আর্থিক লেনদেনের হাত থেকে রক্ষা এবং উদ্ধারকারী 'আমেরিকান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সোলিডারিটি'র বাংলাদেশ প্রতিনিধি শার্শা উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তা-নুরজাহান রীনা পারভিন জানান, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত অভিবাসী নারী-পুরুষদেরকে স্বাবলম্বী করে তুলতে প্রত্যেক অভিবাসীকে এককালীন আনুমানিক ১৩ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। তবে টাকাগুলো যাতে তাঁরা কাজে লাগাতে পারে, তার জন্য তাঁদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি শর্ট ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

'প্রাণী সম্পদ বিভাগ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং কৃষি বিভাগ কর্তৃক ট্রেনিং প্রদান শেষে তাঁদেরকে সরকার প্রদত্ত আনুমানিক ১৩ হাজার টাকা এককালীন প্রদান করা হয়।' 

তিনি আরও জানান, যশোর জেলার অভিবাসীদের নামের তালিকা এবং ঠিকানা সংরক্ষণ করে থাকে যশোর জেলা শহরে অবস্থিত এনজিও প্রতিষ্ঠান 'ওয়েলফেয়ার সেন্টার'।

ওই সেন্টারের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগাযোগে এক নারী প্রতারক যার ছদ্মনাম : নাসমিন শিরীন, তার ব্যবহৃত মোবাইল নস্বর : ০১৭৩৪৫৪৫২৭২। সে ওয়েলফেয়ার সেন্টার যশোর অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৩০০ অভিবাসীর নাম এবং তাঁদের প্রত্যেকের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে।

প্রতারক নাসমিন শিরিন শনিবার (১৮ মে) সকালে ওই অভিবাসীদের ট্রেনিং দেওয়া হবে বলে প্রত্যেককে ৭৫০/(সাতশত পঞ্চাশ) টাকা সঙ্গে নিয়ে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন রোডস্থ 'মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন' কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলে। মোবাইল মেসেজ পেয়ে ভুক্তভোগীরা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন কার্যালয়ে হাজির হতে থাকে। উপস্থিত ভুক্তভোগীরা প্রতারকের খপ্পরে পড়েছে এমন সংবাদ পেয়ে নুরজাহান রীনা পারভীন বেলা ১১টার দিকে ঘটনা স্থলে পৌছে উপস্থিত অভিবাসীদেরকে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করেন।

এ ব্যাপারে জানতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-নয়ন কুমার রাজবংশীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাউকে বা কোনও প্রতিষ্ঠানকে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দেন নি বলে জানান।