পদ বদলালেও কাজে আপত্তি নেই কাদেরের

পদ বদলালেও কাজে আপত্তি নেই কাদেরের

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা জানালেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কতটুকু সফল হয়েছেন— এই প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ব্যর্থতা থেকে শিক্ষাও নেব, যেখানে ভুল আছে, আমরা সম্মিলিতভাবে আগামীতে চেষ্টাও করব। কে কোন দায়িত্বে, সেটা ব্যাপার নয়। দায়িত্ব বদলালেও তো আমরা এই দলেই আছি।’ 

তিনি আরও বলেন, তিনিও ‘নিখুঁত’ নন, নতুন কমিটিতে পদ বদলে গেলেও কাজ করে যেতে আপত্তি নেই তাঁর।

শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। এর প্রস্তুতি জানাতে সকালে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব নেতাই উপস্থিত ছিলেন।

তৃতীয় দফায় দলের সাধারণ সম্পাদক থাকার সম্ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একাধারে ক্ষমতাসীন দল। ক্ষমতাসীন দলে কিছু সমস্যা থাকে। আজ কেউ আছেন, তিনি আবারও থাকতে চাইবেন। আবার নতুন কারও আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে।’

দুই আকাঙ্ক্ষার মধ্যে সাংঘর্ষিক বিষয় অনেক সময় হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেন কাদের। সাংঘর্ষিক বিষয়কে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা প্রতিক্রিয়া থাকে বলেও জানান। পৃথিবীর সব দেশের মতো বাংলাদেশেও এ ধরনের ছোট সমস্যা রয়েছে বলেন।

মন্ত্রী ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজের মূল্যায়নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হবেই। আই অ্যাম নট পারফেক্ট লিডার, আমি মনে করি একেবারে পারফেক্ট হওয়া সম্ভব নয়। ভুলত্রুটি তো থাকবেই। সাফল্য আছে, ভুলত্রুটিও আছে।’ তিনি বলেন, ‘তবে মহামারির জন্য আমরা একটা বছর কাজ করতে পারিনি। এর মধ্যে আমার সহকর্মীরা অনেক সহযোগিতা করেছেন, কাজ করেছেন। আমাদের সহযোগী সংগঠন, মহানগর আওয়ামী লীগ কাজ করেছে। আমি মনে করি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন, বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। বাকি সব তো রুটিন কাজ।’

কেন্দ্রীয় কমিটির এই মেয়াদে প্রথমবার উপজেলা, তৃণমূল পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি সম্মেলন হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিনি বলেন, দলের প্রতি তরুণ ও নারীদের আগ্রহ বেড়েছে। আওয়ামী লীগ তার ‘স্বকীয় ধারায়’ এগিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে শনিবারের জাতীয় সম্মেলন বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরা হয়। 

এতে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহ্‌মুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম; সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, নির্বাহী সদস্য রিয়াজুল কবির, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।