পুতুল : কারণে-অকারণে শত্রুতা বাড়ানোর কোনও যৌক্তিকতা নেই।

পুতুল : কারণে-অকারণে শত্রুতা বাড়ানোর কোনও যৌক্তিকতা নেই।
ডন প্রতিবেদন : শান্তির জন্য ন্যায় বিচারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কন্যা অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের দ্বিতীয়দিন প্যানেল ডিসকাশনে এ কথা বলেন তিনি। বিশ্বব্যাপী শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে ঢাকায় দু’দিনের এ শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রবিবার (৫ ডিসেম্বর) আয়োজনের শেষদিনে ‘পিস থ্রু ইন্টার-ফেইথ ডায়ালগ, কালচার অ্যান্ড হেরিটেজ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন সায়মা ওয়াজেদ। বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বলেন, ‘কারণে-অকারণে শত্রুতা বাড়ানোর কোনও যৌক্তিকতা নেই। যতোটা সম্ভব বন্ধুত্ব বাড়িয়ে চলতে হবে। আমাদের একটাই পৃথিবী, চাইলেও অন্য কোথাও ঠিকানা গড়া সম্ভব নয়। তাই নিজেদের স্বার্থেই একে বসবাস উপযোগী রাখতে হবে। পাশাপাশি পারস্পরিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ বাড়াতে হবে।’ ‘তথ্য গোপন নয়, বরং প্রকৃত অবস্থা জানাতে হবে। ধর্মীয় চরমপন্থা অসহিষ্ণুতা বাড়ানোর অন্যতম বড় কারণ।’ এ সময় অন্যান্য দেশ থেকে আগত প্রতিনিধিরা বলেন, নিরাপদ বিশ্ব গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সায়মা ওয়াজেদ আরও বলেন, ‘যখন তথ্য আমাদের সহায়তা করার কথা, এটা যেনো আমাদের বাধা টপকানোর পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বৈষম্য দূর, আমাদের জ্ঞান ও বন্ধুত্বের বার্তা দেওয়ার পরিবর্তে আমরা বৈষম্য ও বিরোধ তৈরির জন্য নতুন নতুন পথ বের করছি।’ ‘প্রযুক্তির উন্নয়ন হলেও মানুষে মানুষে ফারাকটা ঠিকই থেকে যাচ্ছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘মানব সভ্যতার উন্নতি বিশেষ করে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে মানে এই নয় যে, যাঁদের সম্পদ সীমিত, ঝুঁকিপূর্ণ ও ভোটের অধিকারহীন, তাঁদের কাছে এটা পৌঁছে যাচ্ছে। পাওয়া ও না পাওয়ার মধ্যে ব্যবধানটা বাড়ছেই।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তি দর্শনের উল্লেখযোগ্য দিকও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন তাঁর নাতনী সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তিনি বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করতেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বিশ্বাস করতেন ন্যায্যতা, ন্যায়বিচার ও সমান অধিকারের মাধ্যমেই শুধু শান্তি অর্জন সম্ভব। জাতিসংঘের ইউনিভার্সিটি অব পিসের স্থায়ী পর্যবেক্ষক ডেভিড ফার্নান্দেজ পুয়ানার সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অন্যদেরমধ্যে গ্রিসের ন্যাশনাল অ্যান্ড কাপোডিস্ট্রিয়ান ইউনিভার্সিটি অব অ্যাথেন্সের অধ্যাপক দিমিত্রিস ভ্যাসিলিয়াদিস এবং ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরিয়েন্টাল স্টাডিজ অনুষদের শিক্ষক মাইকেল পানাসিউক প্রমুখ বক্তব্য দেন।