‘পাকিস্তান’ শব্দ থাকা আইনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

‘পাকিস্তান’ শব্দ থাকা আইনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : দেশের প্রচলিত যেসব আইনে ‘পাকিস্তান’, ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান’ ও ‘ইস্ট পাকিস্তান’ শব্দ যুক্ত আছে, সেগুলোর তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এসব তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এসব আইনের তালিকা করতে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আইন অনুসারে, দেশের প্রচলিত আইন থেকে ‘পাকিস্তান’, ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান’ এবং ‘ইস্ট পাকিস্তান’ শব্দ বাদ দিয়ে সংশোধন করতে নিষ্ক্রিয়তা কেনো অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (৮ মে) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মুহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানিতে এসব আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবিউল আলম।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ও আইনজীবী কামরুল ইসলাম।

আইনজীবী কামরুল ইসলাম জানান, স্বাধীনতার পর প্রচলিত (পাকিস্তান আমলের) আইনগুলো অ্যাডপ্ট করা হয়। তখন ১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ লজ (রিভিশন ও ডিক্লারেশন) অ্যাক্টে পাকিস্তান, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান এবং ইস্ট পাকিস্তান শব্দগুলো বাদ দিতে বলা হয়। এরপর কিছু আইনে বাদ দেওয়া হয়। তবে এখনো অনেক আইনে শব্দগুলো রয়ে গেছে।

যেমন- দ্য ক্যাটল (প্রিভেনশন অব ট্রেসপাস) অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯, দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১, দ্য এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১, দ্য এগ্রিকালচারাল পেস্টস অর্ডিন্যান্স ১৯৬২, দ্য ইনডিসেন্ট অ্যাডভার্টাইজমেন্টস প্রহিবিশন অ্যাক্ট ১৯৬২, দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট ১৯৬৩, দ্য পাইলটেজ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এবং দ্য গভর্নমেন্ট লোকাল অথরিটি ল্যান্ডস অ্যান্ড বিল্ডিংস (রিকভারি অব পজেশন) অর্ডিন্যান্স ১৯৭০ উল্লেখযোগ্য।