নবীরুলের বই কিনছে না সরকার।

নবীরুলের বই কিনছে না সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বই কেনা প্রকল্পের ১ হাজার ৪৭৭টি বইয়ের তালিকা বাতিল করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন সচিব কে এম আলী আজম আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। পরবর্তী অর্থবছরে লেখকের নামে না কিনে বিষয়ভিত্তিক প্রকল্পের বই কেনা হবে।’

বই কেনার তালিকায় অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলামের ২৯টি বই থাকার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে নতুন সিদ্ধান্ত জানালো মন্ত্রণালয়।

এর আগে রোববার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের জ্ঞানচর্চা ও পাঠাভ্যাস বাড়ানোর জন্য বই কেনার তালিকায় মো. নবীরুল ইসলামের ২৯টি বই কীভাবে ঢুকেছে তা তদন্ত করা হবে।

তিনি বলেন, ‘একজন কর্মকর্তা যিনি এই দায়িত্বের মধ্যে ছিলেন, তাঁর ২৯টি বই থাকবে কেনো। এটি অশোভনীয়। আমি নিজে বলছি, যে, এটা ঠিক হয় নি। এটা নিয়ে আমরা বসবো। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু আমরা যতোটুকু জেনেছি, তাঁর বইগুলো কেনা হয় নি, তবে নামগুলো আছে। কেনা হয়েছে সেরা বইগুলো, যেগুলো জগৎ বিখ্যাত ও আমাদের দেশের ইতিহাসের জন্য বিখ্যাত। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর লেখা এবং সুপাঠ্য উপন্যাস কেনা হয়েছে।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি আজ (রোববার) আমার নির্বাচনি এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমি মানুষকে জিজ্ঞাসা করেছি, ওনার বই কেউ কিনেছেন কিনা। কেউ তার বই কেনে নি। আমার সচিব বললেন যে, ঢাকাতেও কিন্তু ওনার বই কেনা হয় নি। যে বইগুলো পাঠক সৃষ্টি করবে, সেই বইগুলো কিন্তু কেনা হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৪৭০ বইয়ের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু কোথাও বাধ্য করা হয় নি যে এই বইগুলো কিনতে হবে। এটির আলোকে বা বিবেচনায় রেখে কিনতে বলা হয়েছে। যে কর্মকর্তা এটি করেছেন তিনি ঠিক করেন নি।’

বইয়ের তালিকায় অনেক সরকারি কর্মকর্তার বই থাকার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্কিমচন্দ্রও সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তার লেখা বইও আছে। এ রকম আরও অনেক কর্মকর্তা আছেন, যাঁদের বইগুলো খুবই ভালো। যেমন মোবাইল কোর্ট আইনের ওপর বই আছে, ভূমি আইনের ওপর বই আছে, আয়করের ওপর অনেক ভালো বই আছে। সেটা যদি কোনও সরকারি কর্মকর্তার হয়, এখানে অসুবিধার কোনও কারণ নেই।’