দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু।

দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে (ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) টোল আদায় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এ টোল আদায় শুরু হয়। আজ শুক্রবার (পহেলা জুলাই) কেরানীগঞ্জের সড়ক ও জনপথের (সওজ) কর্মকর্তা আবদুল মোমেন গণমধ্যমকে এ তথ্য জানান। এদিকে প্রথমদিনের টোল আদায়ে যানবাহনের ধীরগতি ও কিছুটা যানজট লক্ষ্য করা গেছে।

আবদুল মোমেন দুপুরে জানান, রাত ১২টা থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু হয়েছে। আদায়কারী সংস্থা কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি) টোল প্লাজা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পদ্মা সেতুর উত্তর প্রান্তে ৩টি কালেকশন বুথ বসার কথা থাকলেও, টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে এখন পর্যন্ত শুধু ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বুথ বসানো হয়েছে। কেরানীগঞ্জে আব্দুল্লাপুর ও মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের সনবাড়িতে দ্রুততার সঙ্গে টোল বুথ বসানো হবে।

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য অনুমোদিত সব ধরনের যানবাহনের জন্য টোল নির্ধারণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

৫৫ কিলোমিটারের ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পুরোটা রাস্তা পাড়ি দিতে হলে মোটরসাইকেলকে ৩০ টাকা টোল দিতে হবে, পুনর্নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে সিডান কারকে ১৪০ টাকা, ফোর চাকা চালিত যানবাহন ও মাইক্রোবাসকে ২২০ টাকা, মিনিবাস/কোস্টারকে ২৭৫ টাকা, মিনি ট্রাককে ৪১৫ টাকা, বড় বাসকে ৪৯৫ টাকা, মাঝারি ট্রাককে ৫৫০ টাকা, ভারী ট্রাককে ১ হাজার ১ শ টাকা এবং ট্রেইলারকে ১ হাজার ৬৯০ টাকা টোল দিতে হবে।

টোল আদায়ে ধোলাইপাড় থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত মোট ৬টি বুথ থাকছে। মাওয়া প্রান্তে আবদুল্লাহপুর, ধলেশ্বরী, শ্রীনগর পর্যন্ত ৩টি এবং পদ্মা সেতু পার হয়ে কুলিয়াবাজার, মালিগ্রাম ও ভাঙ্গা পর্যন্ত ৩টি টোল বুথ থাকছে।