তাহের হত্যা : ফাঁসির মৃত্যুকে ‘রোমান্টিক’ বলছেন জাহাঙ্গীর!

তাহের হত্যা : ফাঁসির মৃত্যুকে ‘রোমান্টিক’ বলছেন জাহাঙ্গীর!

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি স্থগিতের আবেদন খারিজের পর পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করেছেন। জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই মিজানুর রহমান মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বেলা ১টার দিকে বলেন, ‘গত রোববার কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের চিঠি দিয়েছিলো। রিট পেন্ডিং থাকায় আমরা তখন দেখা করি নাই। রিট নিষ্পত্তি হওয়ার পর আজ আমরা দেখা করতে এসেছি। আমাদের পরিবারের প্রায় ৩৫ জন সদস্য দেখা করতে এসেছে।’

কারাগারে দেখে এসে জাহাঙ্গীরের আরেক ভাই সোহরাব হোসেন বলেন, জাহাঙ্গীর স্বাভাবিক ছিলো। সে বলেছে, ‘এ মৃত্যু নিয়ে আমার ভয় নেই। আমার এ মৃত্যু রোমান্টিক। এ মৃত্যু আমার জন্য পরকালে ভালো কিছু নিয়ে আসতে পারে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। কোনও ভুল করে থাকলে ক্ষমা করে দিয়েন’।

দুপুর ১টার ৬ মিনিটে জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সদস্যরা ফটক দিয়ে কারাগারের ভিতরে প্রবেশ করেন। ৩টা ৪৫ মিনিটে তারা কারাগারের পেছনের গেট দিয়ে বের হয়ে যান। ফটকের সামনে সাংবাদিকদের ভিড় দেখে কারা কর্তৃপক্ষে তাদের পেছনের গেট দিয়ে বের করে দেয়।

এর আগে সকালে মিয়া মহিউদ্দিনের পরিবারের দুই-তিনজন সদস্য একটি মাইক্রোবাসে এসে দেখা করে চলে যায় বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

পরিবারের সদস্যদের শেষ দেখা করার মধ্যে দিয়ে অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় কার্যকরের কার্যক্রম শুরুর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কারণ এই দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আর কোনও বাধা নেই।

আজ রাতেই আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে বলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে। দুপুরে কারাগারের ভেতরে রাজশাহী জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, ডিআইজি প্রিজন ও কারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সভা হয়েছে বলে ওই সূত্র জানায়। তবে এই নিয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

এদিকে, এ দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরের আগের সব ধাপ শেষ হয়েছে। সবশেষ মঙ্গলবার এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি স্থগিতের আবেদন খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত। আজ প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেন। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।