তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াল অগ্নিকাণ্ডের ৯ বছর আজ।

তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াল অগ্নিকাণ্ডের ৯ বছর আজ।
ডন প্রতিবেদন : তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ৯ বছর আজ। ২০১২ সালের আজকের দিনে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সরকারি হিসাবেই ওই ঘটনায় মারা যান অন্তত ১১৭ জন শ্রমিক। আর আহত হন আরও ২০০ জন। ভয়ানক ওই দুর্ঘটনায় পোশাক কারখানাটির ছয়টি তলা ভস্মীভূত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সরাসরি আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান ১০১ জন পোশাক শ্রমিক। আর ওপর থেকে লাফিয়ে পড়ে মৃত্যু হয় আরও ১০ জনের। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও ৬ জন। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এবং সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর বিভিন্ন দেশের বিদেশি ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে পোশাক নেওয়া বন্ধ করে দেন। ওই সময় দেশের কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ উন্নত করার তাগিদ আসে নানা স্থান থেকে। ফলে দেশের কারখানাগুলো সংস্কার করাতে বাধ্য হয়। এদিকে তাজরীন ফ্যাশনসের অগ্নিকাণ্ডের নবম বার্ষিকীতে নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ নভেম্বর) দিনের প্রথম প্রহরে কারখানার ফটকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। যেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নিহতদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিকলীগসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। পরে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা বলেন, আজ তাজরীন ফ্যাশনসের অগ্নিকাণ্ডের নয় বছর হলো। ওইদিন ১১৭ জন শ্রমিক নিহত হন। আহত হন অনেকে। এখনও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নিহত শ্রমিকের পরিবার ও আহত শ্রমিকদের আজও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয় নি। টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের আশুলিয়া কমিটির সভাপতি ইউসুফ শেখ বলেন, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আগুন লাগার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ গেটে তালা লাগিয়ে শতাধিক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার নয় বছর পার হলেও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। গত বছর ৪ মাসের বেশি সময় ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাজরীনের অর্ধশত শ্রমিক তাঁদের দাবি আদায়ে অনশন করলেও এর কোনও সুরাহা হয় নি। অবিলম্বে তাজরীনের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে তাঁরা পুড়ে যাওয়া ভবনটি সংস্কার করে শ্রমিকদের পুনর্বাসনের দাবি জানান।