জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ : আহত দুই দলেই

জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ : আহত দুই দলেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ; জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ দুই দলেই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে একজন ছাত্রলীগ নেতার অবস্থা গুরুতর। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে জয়পুরহাট শহরের পাঁচুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত জয়পুরহাট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা ইফাতকে প্রথমে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা।

জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাঙলার কাগজকে বলেন, বিকেলে শহরের প্রধান সড়কে শান্তি মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশে একত্রিত হচ্ছিলাম। এ সময় বিএনপির পদযাত্রা থেকে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। পাথরের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম সৈকত, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাজা, জেলা যুবলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাহাত, পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বর্ষণ, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আবু কাহাত, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগকর্মী ইফাতসহ ১২ জন আহত হন।

এদিকে একই অভিযোগ করেছেন জয়পুরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন। তিনি বাঙলার কাগজকে বলেন, বিকেলে পদযাত্রা শেষে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করছিলাম। এ সময় রেল লাইনের পূর্ব পাড় থেকে বিনা উসকানিতে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তিনি দাবি করেন, ইটের আঘাত ও পুলিশের রাবার বুলেটে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু রাইহান উজ্জলসহ মোট ২৫ জন আহত হন। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির অফিসে ভাঙচুর চালায়।

জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বাঙলার কাগজকে বলেন, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ জন ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ইফাত নামে একজনকে বগুড়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বাঙলার কাগজকে বলেন, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করে নি।