জয় : বিএনপি-জামায়াত যেভাবে জঙ্গি প্রতিষ্ঠা করেছিলো

জয় : বিএনপি-জামায়াত যেভাবে জঙ্গি প্রতিষ্ঠা করেছিলো

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : বিএনপি-জামায়াতের রাষ্ট্রীয়ভাবে জঙ্গি প্রতিষ্ঠা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওসহ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় ফেসবুকে পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‌‘২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় কীভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, তথ্যপ্রমাণসহ তার কিছু নমুনা দেখে আসি এই ভিডিওতে। পুরো ভিডিও দেখুন আর জানার চেষ্টা করুন, বাংলাদেশকে সাক্ষাৎ নরকে পরিণত করেছিলো বিএনপি-জামায়াত।’

ভিডিওতে মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কয়েকটি শিরোনাম রয়েছে, ‘জঙ্গিবাদের উত্থানের পেছনে প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতার জন্য দায়ী বিএনপি-জামায়াতের আট নেতা ও মন্ত্রী’, ‘বাংলা ভাইয়ের ক্যাডাররা পুলিশি পাহারায় রাজশাহী শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে’, ‘বাংলা ভাইয়ের ক্যাডারদের শ্বাসরোধ করে আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা’, ‘শীর্ষ জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে’। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় মাথাচারা দিয়ে ওঠা কুখ্যাত অপরাধী সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন- জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) গড়ে তুলেছিলো।

বিস্ফোরণের পর, জঙ্গি গোষ্ঠীর ‘আমরা বাংলাদেশের জন্য ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই’ লিফলেট বিতরণ করা ছবিও ভিডিওতে দেখানো হয়।

ভিডিওটিতে এটিও দেখানো হয় যে, প্রগতিশীল লেখক, চিন্তাবিদ এবং কর্মীদের জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিলো এবং হুমায়ুন আজাদের মতো বিশিষ্ট লেখকের ওপর হামলা হয়েছিলো এবং পরে জঙ্গি গোষ্ঠী এর দায় স্বীকার করে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্মূল করার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী নিয়োগ বিএনপি-জামায়াত শাসনের একটি দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জঙ্গিগোষ্ঠীর মাধ্যমে কীভাবে আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর হামলা করা হয়েছিলো তার প্রতিবেদনের ভিডিও ফুটেজ তুলে ধরেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা এবং সেই হামলায় অন্তত ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিলো এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা কানে আঘাত পেয়ে হত্যা প্রচেষ্টা থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সেই বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছিল বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীর মাধ্যমে’।

তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ‘দুর্নীতিবাজ সরকার এবং সহিংস রাজনীতির’ প্রতীক হিসাবে চিত্রিত করে, তিনি বলেন, এমনকি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস তার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ার সুপারিশ করেছিলো।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সুইডিশ সাংবাদিক ও লেখক বার্টিল লিন্টনারের মতো শীর্ষস্থানীয় বিশ্লেষকরা বাংলাদেশকে ‘সন্ত্রাসের উর্বর ভুমি’ এবং পুলিৎজার পুরস্কারবিজয়ী মার্কিন সাংবাদিক ও কবি এলিসা গ্রিসওল্ড আফগান স্টাইলের ইসলামি বিপ্লবের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।

ভারতের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক উপ-মহাপরিচালক মেজর জেনারেল গগনজিৎ সিং ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের কথা স্মরণ করে বলেন, তারেক রহমান ও বাংলাদেশের তৎকালীন গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ তার সহযোগীদের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) কমান্ডার-ইন-চিফ পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো।

২০০২ সালের ৪ এপ্রিল বার্টিল লিন্টনার/ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউ রচিত ‘সন্ত্রাসের উর্বর ভূমি এবং এলিসা গ্রিসওল্ড/দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের ‘দ্য নেক্সট ইসলামিক রেভল্যুশন’ (২৩ জানুয়ারি, ২০০৫) এমন কয়েকটি শিরোনাম যা বিএনপি-জামায়াত সরকারের মেয়াদে সুস্পষ্ট পৃষ্ঠপোষকতার কথা বলে।