জঙ্গি হামলায় নিহত ওসি সালাউদ্দীনের স্ত্রী রেমকিম : বাচ্চারা প্রতিটি দিন বাবাকে মিস করে।

জঙ্গি হামলায় নিহত ওসি সালাউদ্দীনের স্ত্রী রেমকিম : বাচ্চারা প্রতিটি দিন বাবাকে মিস করে।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ৬ বছর আজ পহেলা জুলাই (শুক্রবার)। ওই হামলার সময় অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল করিম এবং বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দীন।

এই দুই পুলিশ কর্মকর্তার স্মরণে নির্মিত গুলশানের দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে আজ শুক্রবার ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন সালাউদ্দীনের স্ত্রী রেমকিম খান, কন্যা সামান্তা খান ও পুত্র এস এম রায়ান।

শ্রদ্ধা জানানোর পর সালাউদ্দীনে স্ত্রী রেমকিম খান বলেন, ‘‌শুধু এই দিনে আমরা তাঁকে বেশি মিস করি, বিষয়টি এমন নয়। যেদিন থেকে আমরা ওকে (সালাউদ্দীন) হারিয়েছি, সেদিন থেকে প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্তে আমরা তাঁকে মিস করি।’

দুই সন্তানের প্রসঙ্গ টেনে রেমকিম খান বলেন, ‘বাচ্চারা (দুই সন্তান) বাবাকে মিস করে নি এমন কোনও দিন আমি দেখি নি। তাঁর (সালাউদ্দীন) অনুপস্থিতিতে বাচ্চারা কীভাবে যে বেড়ে উঠছে…। বাবার জায়গাটা আমি মা হয়ে শত চেষ্টা করেও পূরণ করতে পারি নি।’

দুই সন্তানের লেখাপড়া প্রসঙ্গে রেমকিম খান বলেন, সালাউদ্দীন যখন মারা যায়, তখন মেয়েটা সপ্তম শ্রেণিতে আর ছেলেটা কেজি টুতে পড়তো। এখন মেয়েটা দেশের বাইরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। আর ছেলে ঢাকার একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে।

২০১৬ সালের পহেলা জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। ভয়াবহ ওই হামলার ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়ে পুরো দেশ। সেদিন জঙ্গিরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে ২০ দেশি-বিদেশি নাগরিককে। যাঁদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয় এবং ৩ জন বাংলাদেশি। সেই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের এই দুই কর্মকর্তাও নিহত হন।