খাগড়াছড়িতে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস

খাগড়াছড়িতে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলার কাগজ; আরিফুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির রামগড় ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (রামগড় জোন) আওতাধীন চট্টগ্রাম উত্তরের বিভিন্ন বিওপি কর্তৃক অভিযান চালিয়ে উদ্ধারকৃত ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মূল্যের মালিকবিহীন বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে।

শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বাগানবাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ।

অনুষ্ঠানে ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু বকর সিদ্দিক সাইমুমের সভাপতিত্বে বিজিবির চট্টগ্রাম দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়নের পরিচালক (অপারেশন), ৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহেদ মিনহাজ, ২৩ বিজিবির জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল আলমগীর কবির, ৪০ বিজিবির জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল মালেক, রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি, হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শোয়েব আহাম্মেদ খান, রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন, মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন, ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবি জানায়, ২০১৬ সাল থেকে অদ্যাবধি চট্টগ্রাম জেলার সীমান্ত এলাকা হতে মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধারকৃত বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্যে ধ্বংস করা হয়। ধ্বংসের মধ্যে ছিলো ৭ হাজার ২৫১ বোতল ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার মদ, ২৬৯ বোতল ভারতীয় বিয়ার ক্যান, ১ হাজার ৯২৭ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, ৯ হাজার ৮৭৮ পিস ভারতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪০৯ দশমিক ৩৬ কেজি ভারতীয় গাঁজা, ২০৮ দশমিক ২৫ লিটার ভারতীয় চোলাই মদ, ৪০ পিস টার্গেট ট্যাবলেট, ৪০ পিস সেনেগ্রা ট্যাবলেট ও ৫০০ পিস নিমসোলাইড ট্যাবলেট। 

ধ্বংসকৃত এসব মাদকদ্রব্যের আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। 

এ সময় ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু বকর সিদ্দিক সাইমুম তাঁর বক্তব্যে বলেন, মাদকদ্রব্য পাচার রোধে বেসামরিক প্রশাসন ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মিডিয়াকর্মীসহ সকল স্তরের নাগরিকদের ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করছি।