ক্যানবেরায় বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকি ও জাতীয় শোক দিবস পালিত

ক্যানবেরায় বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকি ও জাতীয় শোক দিবস পালিত
বাসস : স্বাধিনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকি ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশে-বিদেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় ক্যানবেরায়ও পালিত হয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ঘোষিত লকডাউনের প্রেক্ষিতে ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্মরণসভাটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। ১৫ আগস্ট হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বাধিন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জিবনের উপর আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে হাইকমিশনারসহ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসি বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচকেরা জাতির পিতার বলিষ্ট নেতৃত্ব ও অবদান নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বৈষম্যহিন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। তাঁরা তাঁর প্রজ্ঞা এবং আপোসহিন নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তাঁরা জাতির পিতার দুরদর্শি ও সাহসি নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধিন রাষ্ট্র পেয়েছে বলেই উল্লেখ করেন। তাঁরা আরও বলেন, ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারে নি। বক্তারা শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহিদের প্রতি শোকাহত চিত্তে গভির শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ধারণ করার বাইরে এ জাতিকে একটি স্বাধিন রাষ্ট্র উপহার দিয়ে বঙ্গবন্ধু অনন্য নেতা হিসেবে অর্বিভূত হন, আর তাই তিনি সহস্র বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এ জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে কিছু আর্দশগত দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, যার ভিত্তিতে একটি প্রগতিশিল সমাজ গঠন ও সক্ষম রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আর্দশ সমাজ এবং জাতীয় পর্যায়ে যথার্থভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ারমধ্য দিয়ে বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব। এ লক্ষ্যে হাইকমিশনার সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অঙ্গিকারাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ ছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বাণি পাঠ করে শোনানো হয়।