কমলাপুরে যাত্রীসহ বগি ‘ফেলে চলে গেলো’ ট্রেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : ঈদযাত্রায় যেখানে হাজার হাজার মানুষ খাওয়া-দাওয়া ভুলে গিয়ে দিনরাত একাকার করে শুধু একটি টিকিটের আশায় বসে আছেন, সেখানে এমন নিম্ন, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের রেখেই চলে গেলো ট্রেন। ঘটনাটি আজ সোমবার (৪ জুলাই) কমলাপুর রেলস্টেশনের। যেখানে যাত্রীসহ বগি ফেলে ট্রেনের চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, বগিটিতে ত্রুটি থাকার কারণে এটি স্টেশনেই রাখা হয়, আর এ বিষয়টি সকাল ৯টায় আমরা ঘোষণা দিয়েছি।
জানা গেছে, রেলস্টেশনে ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় বগিতে বসে ছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু পরে জানতে পারলেন, তাঁদের রেখেই ছেড়ে গেছে ট্রেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় প্ল্যাটফর্মে ছিলো ‘ট’ নম্বর বগি।
জানা গেছে, ট্রেনটি ছাড়ার ঠিক সময় ছিলো সকাল ১০টা ১০ মিনিটে। আর ট্রেনটির ‘ট’ নম্বর বগিতে আগে থেকেই ত্রুটি ছিলো। তাই সেটিকে বাতিল করা হয় এবং মূল ট্রেনের শেষে রাখা হয়। ফলে বগি বাতিলের তথ্য না জেনেই সেখানে উঠে পড়েন অনেক যাত্রী।
একতা এক্সপ্রেসের ‘ট’ নম্বর বগির জন্য ১০৫ জন যাত্রী টিকিট কেটেছিলেন। তাঁদের অধিকাংশ যাত্রী এ ঘটনায় ট্রেনটি মিস করেছেন।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বগি বাতিলের বিষয়টি সকাল ৯টার সময় সবাইকে অবগত করা হয়েছে। তবে আগে যাঁরা বিষয়টি জেনেছেন, তাঁরা অনেকে অন্য বগিতে উঠেছেন।
একতা এক্সপ্রেসের ‘ট’ বগির যাত্রী অমেলা বেগম বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘আমাদের স্টেশনে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়। যার ফলে আমরা এসে দেখি ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে আছে। পরে আমাদের আসন নিশ্চিত করে ট্রেনে বসি। হঠাৎ জানতে পারি, আমাদের বগি রেখেই একতা এক্সপ্রেস ট্রেন চলে গেছে। ’
জানতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছি সকাল ৯টায়। আমরা সর্বোচ্চ এফর্ট দিয়েছি। আমাদের কাছে অতিরিক্ত বগি ছিলো না। ট্রেনটি আসার পথে বগিতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছিলো। এটা কি কারণে হয়েছে, আমরা জানি না, এটা বগির ম্যাটেরিয়ালস দুর্বলতা থেকে হতে পারে। ’
কালকে থেকে কোনও কোচ এমন হলে রিপ্লেস না ছাড়া যাবে না। এ ঘটনায় বগির যাত্রীদের টিকিট ফেরত নেওয়া হয়েছে বলেই জানান কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার।