কথা সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের জন্মদিনে শুভেচ্ছা

কথা সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের জন্মদিনে শুভেচ্ছা

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : আজ ২৭ ডিসেম্বর কথা সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের জন্মদিন। ৩ জানুয়ারি ২০২১ সালে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরবাসে চলে যান তিনি। কথা সাহিত্যিক হিসাবে সমধিক পরিচিত হলেও রাবেয়া খাতুন এক সময় শিক্ষকতা করেছেন। সাংবাদিকতার সঙ্গেও দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন তিনি। ইত্তেফাক, সিনেমা পত্রিকা ছাড়াও তাঁর নিজস্ব সম্পাদনায় পঞ্চাশ এর দশকে বের হতো ‘অঙ্গনা’ নামের একটি মহিলা মাসিক পত্রিকা। তাঁর প্রকাশিত পুস্তকের সংখ্যা একশ’রও বেশি। রেডিও, টিভিতে প্রচারিত হয়েছে অসংখ্য নাটক, জীবন্তিকা ও সিরিজ নাটক। তাঁর গল্প অবলম্বনে কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।

রাবেয়া খাতুন উপন্যাস লিখেছেন পঞ্চাশটিরও বেশি। চার খণ্ডে সংকলিত ছোট গল্পের সংখ্যা চারশ’রও বেশি। ছোটদের জন্য লেখা গল্প-উপন্যাসও সংখ্যায় কম নয়। রাবেয়া খাতুন বাংলাদেশের ভ্রমণ সাহিত্যের প্রধানতম লেখক। প্রথম উপন্যাস মধুমতী (১৯৬৩) প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই শক্তিমান কথাসাহিত্যিক হিসাবে পরিচিতি পান তিনি। বেশকিছু আত্মজৈবনিক স্মৃতিমূলক রচনা লিখেছেন। একাত্তরের নয় মাস (১৯৯০) বইয়ে লিখেছেন শ্বাসরূদ্ধকর দিনগুলোর কথা।

সাহিত্য চর্চার জন্য পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৭), একুশে পদক (১৯৯৩), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৩), নাসিরুদ্দিন স্বর্ণ পদক (১৯৯৫), হুমায়ূন স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮৯), কমর মুশতারী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৪), বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার (১৯৯৪), শেরেবাংলা স্বর্ণ পদক (১৯৯৬), ঝষিজ সাহিত্য পদক (১৯৯৮), লায়লা সামাদ পুরস্কার (১৯৯৯) ও অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৯)। ছোট গল্পের জন্য পেয়েছেন নাট্যসভা পুরস্কার (১৯৯৮)। সায়েন্স ফিকশন ও কিশোর উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন শাপলা দোয়েল পুরস্কার (১৯৯৬), অতীশ দীপঙ্কর পুরস্কার (১৯৯৮), ইউরো শিশু সাহিত্য পুরস্কার (২০০৩)। ছোটগল্প ও উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ণ হয়েছে প্রেসিডেন্ট (১৯৬৬), কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি (২০০৩), মেঘের পরে মেঘ (২০০৪), ধ্রুবতারা, মধুমতি (২০১০)। টিভি নাটকের জন্য পেয়েছেন টেনাশিনাস পুরস্কার (১৯৯৭), বাচসাস (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি) পুরস্কার, বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলেনিয়াম অ্যাওয়ার্ড (২০০০), টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাওয়ার্ডসহ (২০০০) অসংখ্য পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা।

তাঁর জন্মদিন উদ্‌যাপন উপলক্ষে ছোটকাকু ক্লাবের পক্ষ থেকে চ্যানেল আই কার্যালয়ে ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে খাদ্য ও কম্বল বিতরণ করার কথা রয়েছে।