‘একটা ঘর হইলে শান্তিতে ঘুমাইয়া মইরাও শান্তি পামু’

‘একটা ঘর হইলে শান্তিতে ঘুমাইয়া মইরাও শান্তি পামু’

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ ও ডন; কিশোরগঞ্জ : পুরাতন শাড়ী আর ভাঙাচোরা কিছু টিনে জোড়াতালি দেওয়া ঘরের বেড়া। মরিচাধরা টিনের চালায় পলিথিনের ছাউনি। জীর্ণ এ ঘরে বৃদ্ধ অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে বসবাস করছেন আছিয়া বেগম।

কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামের আছিয়া বেগমের ৪ শতক ভিটেবাড়ী ছাড়া আর কিছুই নেই। ফলে ভাঙা ঘরে আছিয়া বেগম তাঁর স্বামী জয়নাল আবেদীন খেলু ফকিরকে নিয়ে খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। 

জানা গেলো, বৃষ্টি এলেই বাড়ে দুর্ভোগ। টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে ভেসে যায় ঘর। আর কালবৈশাখী ও ভারী বৃষ্টি হলেই অসহায় দম্পতিকে ছুটে যেতে হয় অন্যের ঘরে। 

জয়নাল আবেদীন খেলু ফকির আগে পাড়ায় পাড়ায় কটকটি (এক ধরনের মিঠাই) বিক্রি করতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় এখন আর কিছুই করতে পারছেন না তিনি। আবার তেমন কোনও কথাও বলতে পারছেন না। এ অবস্থায়ও আকুতির স্বরে নিজের কষ্টের কথা জানালেন জয়নাল আবেদীন। তিনি বললেন, প্রধানমন্ত্রী যেনো তাঁদের বিষয়টি দেখে।

আছিয়া বেগম বাঙলার কাগজ ও ডনকে কান্নার স্বরে বলেন, ‘জীবনের ৫০টা বছর স্বামীরে নিয়া এমন ভাঙা ঘরে কাটাইছি। এখন শেষ বয়সে থাকতে খুবই কষ্ট হইতাছে ৷ একটা ঘর হইলে একটু শান্তিতে ঘুমাইয়া মইরাও শান্তি পামু।’