আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশে তেলের কারখানা স্থাপনের অনুরোধ

আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশে তেলের কারখানা স্থাপনের অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশের যে কোনও অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভোজ্যতেলের কারখানা স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ আর্জেন্টিনা থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল ও চিনি আমদানি করে থাকে। আর্জেন্টিনা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভোজ্যতেলের কারখানা স্থাপন করলে তুলনামূলক কম দামে ভোজ্যতেল সরবরাহ করতে পারবে ও একইসঙ্গে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে রপ্তানি করাও সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আর্জেন্টিনার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের আগে দেশটির সফররত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়েগো আন্দ্রেস কাফিরোকে এ অনুরোধ জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। 

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে আর্জেন্টিনার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। সচিবালয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং সান্তিয়েগো আন্দ্রেস কাফিরো।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আর্জেন্টিনার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। আশা করি, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে দুই-এক বছরের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এক থেকে দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে।

তিনি বলেন, মার্কোসুর গ্রুপের সদস্য দেশ হিসেবে আর্জেন্টিনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মার্কোসুর গ্রুপের সদস্য চারটি দেশে প্রায় ২৭ কোটি মানুষ। এ দেশগুলোর মানুষের মাথাপিছু আয়ও অনেক বেশি। এ বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চায়।

অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়েগো আন্দ্রেস কাফিরো বলেন, এতোদিন দুই দেশের মধ্যে ফুটবলকে কেন্দ্র করে আন্তরিক সম্পর্ক ছিলো। এখন ব্যবসায়িক সম্পর্কসহ অন্যান্য সম্পর্কে যাবে দুই দেশ।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছর আর্জেন্টিনা থেকে বাংলাদেশ ৭৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। আর চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে ৪৮৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে।

আর্জেন্টিনা থেকে প্রধানত সয়াবিন তেল ও চিনি আমদানি হয়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে রপ্তানি হয় সামান্য।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, এই এমওইউ’র ভিত্তিতে কিছুদিন পরে টিসিবির সঙ্গে আর্জেন্টিনার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আরেকটি এমওইউ হবে, যার ভিত্তিতে টিসিবি সরাসরি আমদানি করতে পারবে।

এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারি কর্মীরা ভিসা ছাড়া আর্জেন্টিনা ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। ভবিষ্যতে সাধারণ নাগরিকরাও অন অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা পেতে পারেন।