আজও ছিলো গ্যাস সঙ্কট। ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী।

আজও ছিলো গ্যাস সঙ্কট। ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : ‘গতকাল (রোববার : ৩ এপ্রিল) দুপুরের আগে নিভু নিভু গ্যাস ছিলো। দুপুরের পর একেবারেই ছিলো না। ইফতার বানানো হয় নি। সন্ধ্যার পর আবারও টিমটিমে গ্যাস আসে। কোনোমতে ভর্তাভাত খেয়ে সেহেরি হয়েছে। আজ সকাল থেকেই গ্যাস অল্প অল্প ছিলো। দুপুরের পর দেখি নাই। আজও বাইরের ইফতার কিনে আনতে হবে।’ রাজধানীর গ্রিন রোডের সানোয়ার হোসেনের মতো আজ সোমবার এমন ভোগান্তি ছিলো ঢাকার বেশ বড় পরিমাণের বাসায়ই। এক্ষেত্রে রামপুরা, বনশ্রী, মগবাজার, কাঁঠালবাগান, ওয়েস্ট ধানমন্ডি ও মিরপুরসহ আশপাশের এলাকায় দুপুরের পর থেকেই ছিলো না গ্যাস। আজ রমজানের দ্বিতীয় দিনে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পেট্রোবাংলার এক ‘জরুরি’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য হ্রাসকৃত হারে গ্যাস সরবরাহের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস স্বল্পতার সৃষ্টি হতে পারে। বিজ্ঞপ্তিতেতে আগের দিনের মতোই ‘সাময়িক এ অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ’ করে বলা হয়, ‘রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজ সম্পন্ন করে দ্রুততম সময়েরমধ্যেই গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’ শেভরন বাংলাদেশের আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রটি পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদনে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তাঁদের চেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে। ‘গ্যাসক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত দুটো প্রসেস ট্রেনেরমধ্যে একটি ইতোমধ্যেই ঠিক করা হয়েছে। বন্ধ থাকা কূপগুলোর একটি থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে,’ বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। তাতে আরও বলা হয়, গ্যাস উৎপাদনে কিছু অসঙ্গতির কারণে গত ৩ এপ্রিল দুটো ‘প্রক্রিয়াজাত ট্রেন’ ও ৬টি কূপ থেকে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। ‘কর্মীদের সুরক্ষা, গ্যাসক্ষেত্রের আশপাশের এলাকা ও পরিবেশের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে ‘দ্বিতীয় ট্রেন’ ও বাকি কূপগুলোকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে’ বলেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। অপরিকল্পিতভাবে গ্যাস উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণও তদন্ত করে দেখা হবে বলে শেভরনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ ছাড়াও গতকাল রাজধানীর জিগাতলা, শ্যামলী, কল্যাণপুর, আগারগাঁও, শ্যাওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর, কাফরুল, আদাবর, বনশ্রী, রামপুরা, বসুন্ধরা আবাসিক, আজিমপুর, লালবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, গ্রিন রোড, মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, নারিন্দা ও ওয়ারিসহ পুরাণ ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকা এবং মিরপুর ১, ২ ও ১০ নম্বর এলাকায় গ্যাস সঙ্কট ছিলো। আজ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রান্নার চুলায় গ্যাস আছে, তবে চাপ কম। পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী আল মামুন বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘বিবিয়ানা থেকে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। গতকাল রাতেই ৬০-৬৫ এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদন পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। আজ দিনেরমধ্যে ১৬০-১৬৫ এমএমসিএফডি পাওয়া যাবে। বাকিটা যত দ্রুত পারা যায়, পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’