আইজিপি : উগ্রবাদ একটি বিজাতীয় সংস্কৃতি।

আইজিপি : উগ্রবাদ একটি বিজাতীয় সংস্কৃতি।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : বাংলাদেশে কোনও জঙ্গি নেই। এ দেশের নাগরিকদের সঙ্গে উগ্রবাদের কোনও সম্পর্ক নেই। এমনটিই বলেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।

শনিবার (২১ মে) দুপুরে শরীয়তপুরে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

শরীয়তপুর পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে এদিন ‘উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক ওই মতবিনিময় সভা হয়।

সভায় আইজিপি বলেন, ‘উগ্রবাদ একটি বিজাতীয় সংস্কৃতি। বিদেশিরা এই সংস্কৃতির বিস্তার ঘটাতে চেয়েছিলো এ দেশে। ৯০ শতাংশ মুসলিমের দেশকে জঙ্গিবাদের মোড়কে যদি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানানো যায়, তাহলে অস্ত্র ব্যবসা করতে ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে তাদের সুবিধা হয়।’

‘বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া দেশ পরিচালনা করছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ ও দূরদর্শিতায় আমরা জঙ্গিবাদকে নিশ্চিহ্ন করতে পেরেছি। যদি আমরা উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ব্যর্থ হতাম, তাহলে উন্নয়নের মহাসড়কে যেতে পারতাম না।’

বিদেশি চক্রান্তের কথা জানিয়ে বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে জঙ্গিদের আস্তানা হিসেবে প্রচার করতে চেয়েছিলো পশ্চিমা বিশ্ব। এ দেশে আইএসএস ঘাঁটি গাড়ছে- এমন তথ্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালায় তারা। অনেক দেশ বাংলাদেশকে অনিরাপদ বলে ঘোষণা দিয়ে তাদের লোকজনকে সরিয়ে নিচ্ছিলো। কিন্তু সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এ দেশে বর্তমানে জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি পদ্মা সেতু ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার হোসেন, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান।

এর আগে মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

সভায় মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকসহ জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।