অভিযোগ সম্পর্কে যা বললো ইউনূস সেন্টার।

অভিযোগ সম্পর্কে যা বললো ইউনূস সেন্টার।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধসহ মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা নানান অভিযোগের জবাব দিয়েছে ‘ইউনূস সেন্টার’। বুধবার (২৯ জুন) ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগসমূহের জবাব’।

পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে চাপ প্রয়োগ করেছেন প্রফেসর ইউনূস- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের জবাবে বলা হয়েছে, ‘প্রফেসর ইউনূস পদ্মা সেতু বিষয়ে বিশ্বব্যাংক বা অন্য কোনও সংস্থা বা ব্যক্তির কাছে কখনও কোনও অভিযোগ বা অনুযোগ জানান নি। সুতরাং বিষয়টি নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত।’

পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে ইউনূসের যোগাযোগের অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘প্রফেসর ইউনূস যতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিই হোন না কেনো, তার যতো প্রভাবশালী বন্ধুই থাকুক না কেনো, একটি ৩ শ কোটি ডলারের প্রকল্প শুধু এ-কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে না যে, তিনি চাইছিলেন এটা বাতিল হয়ে যাক।’

৬০ বছর বয়স হলেও গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদ থেকে পদত্যাগ না করে পাল্টা মামলা করা প্রসঙ্গে ইউনূস সেন্টার বলে, অধ্যাপক ইউনূস ৬০ বছর বয়সে পদার্পণ করলে তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পরিচালনা পরিষদকে জানান যে, যেহেতু তার বয়স ৬০ বছর হয়েছে; তারা একজন নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। পরিচালনা পরিষদ অন্য কোনোরূপ সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকেই দায়িত্ব পালন করে যেতে বলে। পরিচালনা পরিষদ তার বর্তমান নিয়োগের মেয়াদ শেষ হবার পর তাকেই ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পুনর্নিয়োগ দেয়। সে সময় তার বয়স ছিলো ৬১ বছর ৬ মাস। 

ইউনূস সেন্টার বলছে, ড. ইউনূস নিজেই একজন যোগ্য উত্তরসূরীর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ ছেড়ে দিতে চাইছিলেন। যখন ২০১১ সালে ড. ইউনূসকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলা হলো, তখন ব্যাংকটির মৌলিক আইনি মর্যাদা হুমকির মুখে পড়ে গেলে ড. ইউনূস আদালতের দ্বারস্থ হয় বলে দাবি করছে ইউনূস সেন্টার। মুহাম্মদ ইউনূসের রিট পিটিশনের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে চাকরি ধরে রাখার কোনও সম্পর্ক নেই বলেও উল্লেখ করে ইউনূস সেন্টার।

মুহাম্মদ ইউনূস ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে ৩ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে মর্মে যে অভিযোগ রয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই উল্লেখ করেছে ইউনূস সেন্টার। পাশাপাশি বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে।’

গ্রামীণ ব্যাংকের ৪৭ শতাংশ সুদ নিয়ে যে অভিযোগ এসেছে, তার ব্যাখ্যায় ইউনূস সেন্টার বলছে, গ্রামীণ ব্যাংকে ৪৭ শতাংশ সুদ কখনোই ছিলো না এখনো নেই। 

‘ব্যবসা ঋণের ওপর গ্রামীণ ব্যাংকের সুদ বরাবরই ২০ শতাংশ।’