৫০ মিনিটের অনুষ্ঠানে রামমন্দিরের উদ্বোধন : মোদি মধ্যমণি : অযোধ্যায় সোমবার কখন কী হবে?

৫০ মিনিটের অনুষ্ঠানে রামমন্দিরের উদ্বোধন : মোদি মধ্যমণি : অযোধ্যায় সোমবার কখন কী হবে?

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : রাত পোহালেই অযোধ্যায় ‘মহোৎসব’। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন। তাঁর হাত দিয়ে রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ পাবে। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ঢালাও আয়োজন করা হয়েছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে অন্তত ৮০০০ মানুষ উদ্বোধনের সময়ে অযোধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। যাবেন তারকা অতিথিরাও। ইতোমধ্যে অনেকে পৌঁছেও গিয়েছেন। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে অযোধ্যায় পৌঁছে যাওয়ার কথা মোদির। তারপর সারাদিন ধরে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। রামমন্দির উদ্বোধনের পর মোদি অযোধ্যায় একটি জনসভাও করবেন।

সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে অযোধ্যার বাল্মীকি বিমানবন্দরে নামবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে অযোধ্যার হেলিপ্যাডে পৌঁছবেন ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। ১০টা ৫৫ মিনিটে রামমন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছে যাবেন তিনি। বেলা ১২টার পর শুরু হবে উদ্বোধন অনুষ্ঠান। ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মোদি রামমন্দিরের ভেতরেই থাকবেন। তবে ওই সময়ে তিনি কী করবেন, তা জানানো হয় নি।

রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র আচার-অনুষ্ঠান শুরু হবে ১২টা ৫ মিনিটে। একটানা ৫০ মিনিট ধরে অনুষ্ঠান চলবে। ১২টা ৫৫ মিনিটে সব আচার-অনুষ্ঠান সেরে উদ্বোধনস্থল ছেড়ে বেরোবেন নরেন্দ্র মোদি।

রামমন্দিরের কাছেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। দুপুর ১টার মধ্যে তিনি সেখানে পৌঁছে যাবেন। ২টা পর্যন্ত চলবে সভা। জনগণের উদ্দেশে সেই সভা থেকেই প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন। এরপর অযোধ্যার গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান কুবের টিলায় যাওয়ার কথা রয়েছে মোদির। হিন্দুধর্মে এই কুবের টিলার গুরুত্ব অপরিসীম। অযোধ্যার ইতিহাস বলে, এখানে ধনসম্পদের দেবতা কুবের পায়ের ধুলো দিয়েছিলেন। সরযূ নদীর তীরে রামের জন্মভূমির অদূরেই তিনি স্থাপন করেছিলেন এক শিবলিঙ্গ। শিবপুজোও করেছিলেন। সোমবার দুপুরে ওই পবিত্র কুবের টিলা দর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

সোমবার রামমন্দিরের উদ্বোধন হচ্ছে। তবে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলবে মঙ্গলবার থেকে। সোমবার আমন্ত্রিত ছাড়া সাধারণ মানুষ মন্দিরে ঢুকতে পারবেন না। মঙ্গলবার থেকে সারাদিনে দু’বার রামমন্দিরের দরজা খোলা হবে সাধারণের জন্য। প্রথমবার দরজা খুলবে সকাল ৭টায়। সে সময়ে পুণ্যার্থীরা মন্দিরে ঢুকতে এবং পুজো দিতে পারবেন। সাড়ে ১১টা নাগাদ আবার দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আড়াই ঘণ্টার বিরতির পর আবার দুপুর ২টা থেকে দর্শনার্থীরা রামমন্দিরের ভিতর প্রবেশ করতে পারবেন। দরজা বন্ধ হবে সন্ধ্যা ৭টায়।

সারাদিনে মোট তিনবার রামমন্দিরে আরতি হবে। ভোরবেলা প্রথম আরতির সময় সাড়ে ৬টা। সকালের এই আরতিকে বলা হচ্ছে ‘জাগরণ আরতি’। এরপর দুপুর ১২টা থেকে রামমন্দিরে হবে ‘ভোগ আরতি’। শেষে ‘সন্ধ্যা আরতি’ হবে ৭টা নাগাদ। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের তরফে জানানো হয়েছে, দর্শনার্থীরা আরতি দিতে চাইলে তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ৩০ মিনিট আগে মন্দিরের ক্যাম্প অফিসে পরিচয়পত্র নিয়ে হাজির হতে হবে। সেখান থেকে আরতি দেওয়ার পাস সংগ্রহ করার পর মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

রামমন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে ভারতে উৎসবের মেজাজ। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সোমবার এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজ্যেও রামমন্দির উদ্বোধনের জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে সোমবার পূর্ণ দিবস ছুটি। কংগ্রেস শাসিত হিমাচলেও রবিবার পূর্ণ দিবস ছুটি। আর রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, ওড়িশা, সিকিম এবং আসামে সোমবার অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।