১৩ চোরাই মোটরসাইকেলসহ ২ জন গ্রেপ্তার

১৩ চোরাই মোটরসাইকেলসহ ২ জন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : ১৩ চোরাই মোটরসাইকেলসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি (গোয়েন্দা পুলিশ) গুলশান বিভাগ। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) চাঁদপুর, নোয়াখালী এবং মুন্সীগঞ্জ জেলায় অভিযান চালিয়ে এসব মোটরসাইকেলসহ চুরির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন : মো.খালেক হাওলাদার ওরফে সাগর আহম্মেদ (৪৮) এবং মো. জিসান আহমেদ ওরফে সম্রাট (২২)। 

গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে চোরাই মোটরসাইকেলগুলো জব্দ করা হয়।  

তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার খালেকের নামে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা হয়েছে বিভিন্ন থানায়। খালেক গত আট বছরে ৫ শ-৭ শ মোটরসাইকেল ঢাকা থেকে চুরি করে চাঁদপুর, নোয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করেছেন।

গ্রেপ্তাররা ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় পার্কিংয়ে থাকা মোটরসাইকেল কৌশলে মাস্টার চাবি দিয়ে লক খুলে চুরি করে নিয়ে যায়। ডিবিপ্রধান বলেন, আমাদের অনুরোধ থাকবে, যাঁরা মোটরসাইকেল চালান, তাঁরা যেনো মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের সময় একটু লোকালয় দেখে বা সিসিটিভি ক্যামেরা আছে, ওইসব এলাকায় যেনো পার্কিং করেন। তাহলে মোটরসাইকেল চুরি কিছুটা রোধ করা যাবে।

সিসিটিভি আছে, এমন জায়গায় মোটরসাইকেল চুরি হলেও আমরা ফুটেজ দেখে তা বের করে ফেলতে পারবো। 

এ ছাড়া আমাদের অনুরোধ থাকবে, যাঁরা মফস্বল এলাকায় এই মোটরসাইকেলগুলো কেনেন, তাঁরা কেনার আগে যেনো কাগজপত্রগুলো বিআরটিসি থেকে যাচাই করে নেন।  

অন্যথায় যিনি কিনবেন চোরাই মোটরসাইকেল বা যাঁর বাসা থেকে উদ্ধার করা হবে, তাঁরাও সেই চোরাই মামলার আসামি হবেন। যেসব মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে, এগুলোর সঠিক কাগজ নিয়ে আসবেন, আমরা যাচাই করে তাঁদের দিয়ে দেবো।