হোলি আর্টিজান হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করলো পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

হোলি আর্টিজান হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করলো পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

ডিএমপি নিউজ : পহেলা জুলাই (শুক্রবার) গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ৬ বছরের দিনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ২ কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল করিম এবং বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দীন খানসহ নিহত ২২ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএসএ)।

সকালে পুরাতন গুলশান থানার ‘দীপ্ত শপথ’ ভাস্কর্যে নিহতদের স্মরণে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এসবির প্রধান মনিরুল ইসলাম, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডিএমপি’র গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান, পিপিএম (বার)। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিদেশি কূটনীতিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

২০১৬ সালের পহেলা জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। এ নৃশংস ঘটনায় নিহত হন ২২ জন। এ ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়ে পুরো দেশ। সেদিন জঙ্গিরা কুপিয়ে ও গুলি করে যাঁদের হত্যা করেছিলো, তাঁদের মধ্যে ছিলেন ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয় এবং ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক। সেই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল করিম এবং বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দীন। এই ২ জন কর্মকর্তার স্মরণে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে।

ওইদিনের নৃশংস হামলায় নিহত ২২ জনের ৯ জন ছিলেন ইতালির নাগরিক, যাঁদের বেশিরভাগই বাংলাদেশের পোশাক শিল্প খাতে কাজ করতেন। তাঁরা হলেন : নাদিয়া বেনেডেট্টি, ক্লদিও ক্যাপেলি, ভিনসেনজো ডি অ্যালেস্ট্রো, ক্লদিয়া মারিয়া ডি, অ্যান্টোনা, সিমোনা মন্টি, অ্যাডেলে পুগলিসি, ক্রিস্টিয়ান রসি, মারিয়া রিবোলি ও মার্কো টোনডাট। ৭ জন জাপানি নাগরিক, যাঁরা ঢাকায় এসেছিলেন বিশেষজ্ঞ হিসাবে, ঢাকার তীব্র ট্রাফিক জ্যাম নিরসনে সহায়তা করতে মেট্রোরেলের কাজে। তাঁরা হলেন : হিদেকি হাশিমোতো, নোবুহিরো কুরোসাকি, কোয়ো ওসাসাওয়ারা, মাকোতো ওশামুরা, ইয়োকু সাকাই, রুই শিমোদাইরা ও হিরোশি তানাকা। ওইদিন নিহত একজন ছিলেন ভারতীয় নাগরিক। তার নাম ছিলো তারিশি জৈন।

রাতভর এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রতিরোধ অভিযানে ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। যাঁর মধ্যে প্রথমে পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হয় ২ জন বিদেশিসহ ১৯ জন, এরপর সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার হয় দেশি-বিদেশি মোট ১৩ জন।