স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকেই নেতৃত্ব দিতে হবে : কালাম

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকেই নেতৃত্ব দিতে হবে : কালাম

বাসস : প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নতুন প্রজন্ম কাজ করতে পারলেই কেবল টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকেই নেতৃত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল বানানো যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি এটি সঠিকভাবে ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষনের কাজে জনসচেতনতাও প্রয়োজন। সবাই যদি সুনাগরিকের ভূমিকা পালন করে, তাহলে বেশিরভাগ সমস্যাই দূর হবে।’

আবুল কালাম আজাদ অতি সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সিমেক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ও আইডিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটির ম্যানেজমেন্ট ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জুলিয়া রিচার্ডসন।

সিমেক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, ড. আসিফ সিদ্দিকি এবং ড. হোসাইন সামাদ বক্তব্য দেন।

সেমিনারে ‘টেকসই উন্নয়নের স্থানীয়করণ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটি সাসটেইনিবিলিটি পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. ডোরা মেরিনোভা।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তার সঙ্গে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাও নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। 

‘বিশ্বের কাছে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজিস অর্থাৎ সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোলস থাকলেও বাংলাদেশের আছে স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ডেলটা প্ল্যান।’

তাঁরা বলেন, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্মেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলার কাজে তরুণদেরই সামনের কাতারে থাকতে হবে। 

অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিভার্সিটি অব সানশাইন কোস্ট’র সঙ্গে বাংলাদেশের সিমেক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার বেশকিছু গবেষণা কাজ করছে। টেকসই উন্নয়ন ও ব্লু ইকোনমি নিয়ে এসব কাজের গতি বাড়াতে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান এসডিজি মডেল ভিলেজ বাংলাদেশ’র ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর ও সিমেকের এসডিজি কনসালটেন্ট মুহাম্মাদ শরিফুর রহমান।