স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন শনিবার : রোববার থেকে চলবে সব ধরনের গাড়ি।

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন শনিবার : রোববার থেকে চলবে সব ধরনের গাড়ি।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; মিজানুর রহমান, নগরকান্দা (ফরিদপুর) : শনিবার (২৫ জুন) স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। আর তাতে রোববার থেকে চলবে সব ধরনের গাড়ি।

উদ্বোধনের দিন সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাট প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের পদ্মা সেতুর প্রথম উদ্বোধন করবেন। এখানে তিনি সুধী সমাবেশেও যোগ দেবেন। এরপর গাড়িতে করে সেতু পার হয়ে ওপারেও পদ্মা সেতু উদ্বোধনের নামফলক উন্মোচন করবেন, আর সেখানে তিনি জনসমাবেশে যোগ দেবেন। অর্থাৎ ২ পাশেই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের নামফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু। 

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

ফলে স্বপ্ন পূরণ হলো জাতির। 

দ্বিতল এ সেতুর উপরের স্তরে রয়েছে ৪ লেনের সড়ক এবং নিচে রেললাইন।

ঢাকা থেকে যাবার পথে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া হতে শরীয়তপুরের জাজিরায় গিয়ে মিলেছে এ সেতু। যার মাধ্যমে ২১টি জেলা এখন মূলধারার অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত হলো। 

পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ার ফলে এখন থেকে আর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। কিংবা দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না কোনও অ্যাম্বুলেন্সকেও। আবার ওই অঞ্চলের ফল, সবজি থেকে শুরু করে মাছ, ফুল সব ধরনের ব্যবসায়ের অনেক বড় সুযোগ সৃষ্টি হবে। মোটকথা, বাংলাদেশ থেকে এতোদিন ধরে এক রকম বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকা ২১ জেলার সঙ্গে সংযোগ ঘটবে অন্যান্য ৪৩ জেলার। এতে দেশের সুষম উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। আবার এই ৪৩ জেলাও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ব্যবসায়িক দিক থেকে লাভবান হতে পারবে।

বর্তমান অবস্থায় অর্থাৎ পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় প্রমত্তা পদ্মাও কেড়ে নিতে পারবে না কোনও প্রাণ; আবার ঢাকায় অফিস করে কাজ শেষে সন্ধ্যায়ও বাড়ি ফিরতে পারবেন অনেকেই। 

আর পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় কৃষিপ্রধান পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেই হবে শিল্পায়ন। সবমিলিয়ে পদ্মা সেতুতে গ্যাস সংযোগ থাকায় ওই শিল্পায়ন আরও সহজ হওয়ার পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থানও।