বাসস : বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং।
শি জিনপিং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে এক পত্রে লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে আমাদের সহযোগিতা যথাযথ অগ্রগতি হচ্ছে, আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন প্রেরণা যোগাচ্ছে এবং আমাদের দুই জনগণের জন্য আরও সহায়ক হচ্ছে।’
চীনের রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এবং সামাজিক ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’র দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জনগুলো দেখাটা চীনের জন্য খুবই আনন্দের।
প্রেসিডেন্ট শি বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশি, ঐতিহাসিক বন্ধু ও কৌশলগত অংশীদার।
তিনি আরও বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নে আমি দারুণ আশাবাদী এবং চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত সহযোগিতা অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা পৃথক এক পত্রে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্ব দৃঢ় গতি বজায় রেখে চলেছে, যা সবক্ষেত্রে সহযোগিতার সুফল বয়ে আনছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে কার্যকরভাবে লড়াই করছে, দেশ গঠনে এবং মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নের দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
তিনি আরও বলেন, এই অর্জনের জন্য চীন বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে। আমাদের দুই দেশ ও জনগণের স্বার্থে আমাদের দুই দেশের উন্নয়ন কৌশলের একীভূতকরণ এবং উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করছি।