সাংবাদিকদের বেঁধে পেটানোর নির্দেশ সাবেক যুবলীগ নেতার!

সাংবাদিকদের বেঁধে পেটানোর নির্দেশ সাবেক যুবলীগ নেতার!

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; ময়মনসিংহ : ভালুকায় বনভূমি দখলের সংবাদ প্রচার করতে ঘটনাস্থলে সাংবাদিক আসলে তাঁদের বেঁধে পেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন রেজাউল করিম রিপন নামে যুবলীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত এক নেতা। তিনি হবিরবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

সোমবার (১৮ জুলাই) সকালে উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নে প্রস্তাবিত ইকোপার্ক নির্মাণের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ বক্তব্য দেন। তার ওই বক্তব্যের পর স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পরে সাংবাদিকেরা ভালুকা প্রেসক্লাবে তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সভা করেন।

এ সময় ভালুকা প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুল হাসান পাঠান কামাল বলেন, ‘বনভূমি ও বনসম্পদ হলো সরকারি সম্পত্তি, এই সম্পদ রক্ষায় ভালুকার সাংবাদিকরা বরাবরই সোচ্চার এবং প্রায়ই এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করে থাকেন। যার ফলে অনেক ভূমিদস্যু বনের জমি দখল করতে বাধাগ্রস্ত হয়। এসব ক্ষোভের কারণে সাংবাদিকদের তারা প্রায়ই গালাগালসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে থাকে। রেজাউল করিম রিপন নামের সাবেক যুবলীগ নেতা প্রকাশ্যে সাংবাদিকদেরকে বেঁধে পেটানোর যে ঘোষণা দিয়েছেন, আমারা ওই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। এ বিষয়ে আমরা আইনি পদক্ষেপ নিবো।’

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এজাদুল হক পারুল বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘ওই যুবলীগ নেতা আমাদের সংগঠনের কেউ নয়। সাংবাদিকদের পেটানোর এমন ঘোষণা দেওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। সাংবাদিকরা আমাদের বন্ধু।’

তিনি আরও বলেন, রেজাউল করিম গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চায়। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পরাজিত হয়। পরে তাকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় যুবলীগের ইউনিয়নের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে রেজাউল করিম রিপনকে ফোন করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে খুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনও সাড়া পাওয়া যায় নি।

এ ব্যাপারে ভালুকা বন রেঞ্জের কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘ইউনিয়ন যুবলীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল করিম রিপনের বিরুদ্ধে বনভূমি দখলের মামলা রয়েছে। সে একজন তালিকাভূক্ত বনভূমি জবরদখলকারী।’