স্থানীয় সরকারমন্ত্রী : মানবসেবায় অবদান রাখতে সবাইকে মেম্বার-চেয়ারম্যান হতে হয় না।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী : মানবসেবায় অবদান রাখতে সবাইকে মেম্বার-চেয়ারম্যান হতে হয় না।
ডন প্রতিবেদন : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে এবং দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে অবদান রাখতে সবাইকে মেম্বার-চেয়ারম্যান হতে হয় না । মেম্বার-চেয়ারম্যান না হলে কারো জীবন ব্যর্থ হয়ে যাবে, এমনটি ভাবা ঠিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি না হয়েও মানসিকতা এবং দেশপ্রেম থাকলে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা যায়। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার (সিজেএফডি) দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে শ্রেণীভেদ আছে, পেশার ভিন্নতা, ধর্মীয় ও বর্ণের পার্থক্য আছে। ভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু আমরা মানুষ। যাঁর যা প্রাপ্য সম্মান, তাঁকে তা দিতে হবে। সকল পেশার প্রতি সম্মানবোধ রাখা উচিত। দেশের উন্নয়নে কাউকে হেয় করার সুযোগ নেই। কাউকে বাদ দিয়ে উন্নত দেশ গড়া সম্ভব নয়। তাই সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ সিজেএফডি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, সিজেএফডি’র সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক সভাপতি মাহমুদুর রহমান খোকন এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম। মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী এবং যুগোপযোগী করতে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনের আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ এবং পৌরসভার খসড়া সংশোধনী মন্ত্রিপরিষদে পাশ হয়েছে। তিনি বলেন, পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগ প্রদান নিয়ে সমালোচনা হলেও এই নিয়োগের ফলে সংশ্লিষ্ট পৌরসভায় রাজস্ব আদায়ে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের সময় মাত্র ৩৮টি পৌরসভা কর্মচারীর বেতন দিতে পারতো উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এখন অধিকাংশ পৌরসভা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে। ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত করা, দূষণরোধ এবং সেগুলোতে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে অনেক নদী ও খাল বেদখল হয়ে গেছে। সেগুলো উদ্ধারে দুই সিটি করপোরেশন এবং বিআইডব্লিউটিএ অভিযান চালাচ্ছে এবং অনেকাংশে উদ্ধারও করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লাতেও ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে বৃহত্তর কুমিল্লায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। মন্ত্রী কুমিল্লার উন্নয়নের লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার এবং কুমিল্লা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন শহরে পরিণত করতে সকলকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।