সীতাকুণ্ডে আগুন ও বিস্ফোরণ : গুরুতর দগ্ধ সাতজনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আনা হয়েছে ঢাকায়।

সীতাকুণ্ডে আগুন ও বিস্ফোরণ : গুরুতর দগ্ধ সাতজনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আনা হয়েছে ঢাকায়।

নিজস্ব প্রতিবেদন ও সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের দুই কর্মীসহ সাতজনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এবং বাকি পাঁচজন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

রোববার (৫ জুন) বিকেল পাঁচটার দিকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে (এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে) করে তাঁদের ঢাকায় আনা হয়।

চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ফায়ার সার্ভিসের ১৫ জন সদস্য ভর্তি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ঢাকায় আনা হয়। আর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল থেকে যে পাঁচজনকে আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বিএম ডিপোর কর্মকর্তা ও কাভার্ড ভ্যানচালক রয়েছেন।

বেলা দুইটার দিকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হেলিপ্যাড মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, আহত রোগীদের ঢাকায় নেওয়ার জন্য একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স অবতরণ করছে। এরপর সাতটি আলাদা অ্যাম্বুলেন্সে করে দগ্ধ রোগীদের আনা হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হেলিপ্যাডে। বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে আহত ব্যক্তিদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় সেনাবাহিনীর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।

ঢাকায় নিয়ে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের আহত কর্মীরা হলেন : গাউসুল আজম (২২) ও রবিন মিয়া (৪৫)। তাঁদের মধ্যে গাউসুল আজমের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং রবিনের ৬৪ শতাংশ পুড়ে গেছে।

হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা অন্যরা হলেন : বিস্ফোরণ ঘটা সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর সহকারী ব্যবস্থাপক মাসুম মিয়া (৩২), রিসিভার ফরমানুল ইসলাম, কাভার্ড ভ্যানচালক রবিউল হোসেন রুবেল (৩০), মুহাম্মদ মহিবুল্লাহ (২৫) ও ফারুক হোসেন (২৮)।

হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনার সময় চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে হেলিপ্যাডে এসেছিলেন কাভার্ড ভ্যানচালক রবিউলের স্ত্রী বিবি মরিয়ম। তিনি বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘শনিবার রাতে যখন বিস্ফোরণের খবর শুনি, তখন ঘুমে ছিলাম। উঠে খবর পাই, স্বামী দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে। রাতে গিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে দেখি স্বামীর শরীরের বেশিরভাগ ঝলসে গেছে। তাঁর সুস্থতা ছাড়া আমি আর কিছুই চাই না।’