শেখ হাসিনাকে নিয়ে এশিয়ার নারীদের গর্ব করা উচিত

শেখ হাসিনাকে নিয়ে এশিয়ার নারীদের গর্ব করা উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : টানা চতুর্থসহ পঞ্চমবার সরকার গঠন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেছেন, যোগ্যতা ও নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের গর্ব করা উচিত। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াদিল্লির প্রেসিডেন্ট ভবনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব কথা বলেন দ্রৌপদী মুর্মু।

তিনদিনের সফরে গত মঙ্গলবার নয়াদিল্লি পৌঁছান হাছান মাহ্‌মুদ। প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে শুক্রবার তিনি দেশটির ১৫তম প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আন্তরিক পরিবেশে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘তাঁকে (দ্রৌপদী) আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং টানা চারবারসহ পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও তিনি সহমত পোষণ করেন।’

হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘আমি তাঁকে বলেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে বলেছেন– জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে কেনো নারীকে দেখতে পাই না। দেখতে চাই। ভারতের প্রেসিডেন্টও প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির সঙ্গে অতীতের মতোই ভারত সব সময় থাকবে বলে জানান তিনি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার ভারতের ভাইস প্রেসিডেন্ট জগদীপ ধনকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দিল্লির নতুন পার্লামেন্ট ভবনে এ সাক্ষাতে দুই দেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তাঁরা। রাজ্যসভার লিডার অব দ্য হাউস এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে পীযূষ গয়ালের সঙ্গেও পৃথকভাবে বৈঠক করেন হাছান মাহ্‌মুদ এবং দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেন।

এর আগে বুধবার দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এক দশক’ শীর্ষক একক বক্তব্য দেন তিনি। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব অব সাউথ এশিয়া’র সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।