শিক্ষকের মৃত্যু : ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েট বন্ধ ঘোষণা। হল ত্যাগের নির্দেশ।

শিক্ষকের মৃত্যু : ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েট বন্ধ ঘোষণা। হল ত্যাগের নির্দেশ।
ডন সংবাদদাতা, কুয়েট : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি আজ শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টারমধ্যে সকল শিক্ষার্থীদেরকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। একইসঙ্গে ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধেরও দাবি জানানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) ক্যাম্পাসে দুর্বার বাংলার পাদদেশে শিক্ষকদের প্রতিবাদ সভায় এ দাবির কথা জানান শিক্ষক সমিতির নেতারা। এর আগে সকালে সাড়ে ১০টায় শিক্ষকেরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমবেত হন এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এরপর বেলা সোয়া ১১টায় তাঁরা প্রতিবাদ শোভাযাত্রা বের করেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় দুর্বার বাংলা চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস। শিক্ষকরা বলেছেন, ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যু কোনও অবস্থায় স্বাভাবিক ঘটনা নয়। তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করার মধ্যে দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি ছাত্র সংগঠনের কিছু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ড. সেলিম হোসেনের গতিরোধ করে। পরে ওই শিক্ষককে তড়িৎ প্রকৌশল ভবনে তাঁর ব্যক্তিগত কক্ষে নিয়ে আনুমানিক আধা ঘণ্টা রুদ্ধদার বৈঠক করে। এরপর সেলিম হোসেন দুপুরের খাবারের জন্য বাসায় যান। দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন, সেলিম হোসেন বাথরুম থেকে বের হচ্ছে না। এরপর দরজা ভেঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। শিক্ষকেরা জানান, সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্ত ছাত্রদের প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়েছে। আর তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।